পাতা:পৃথিবী.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[৬২]

দৃশ্যমান অবস্থার অধিকাংশ বিষয়ের কারণ দর্শাইতে সক্ষম। জগতের আদিম অবস্থা কল্পনা করিয়া অবরোহ প্রণালীতে লাপ্লাস যে সিদ্ধান্তে আসিয়াছিলেন, আরোহ প্রণালী অবলম্বন দ্বারা আধুনিক পণ্ডিত সার উইলিয়ম টমসন ও হেলমহলটস, সেই একই সিদ্ধান্তে আসিয়াছেন।

 এই পৃথিবীর উপরে যে সকল কাজ হইতেছে সকল কার্যেই সূর্য্যের উত্তাপ ব্যয়িত হয়। কি একটি ক্ষুদ্র পতঙ্গের পক্ষ নাড়া, আর কি একটি প্রকাণ্ড পর্বত চূর্ণ হওয়া, সকলি সূর্য্য-উত্তাপ দ্বারা সম্পাদিত। এক দিন সূর্য্য হইতে উত্তাপ না আসিলেই পৃথিবীর সকল কার্য্য বন্ধ হইয়া যাইবে। এই যে পৃথিবীর জীবন-রক্ষণকারী উত্তাপ, যাহা আমাদের পক্ষে অপরিমিত বলিয়া মনে হয় তাহা সূর্য্যের হিসাবে অতি সমান্য। আমরা সূর্য্য হইতে যত উত্তাপ পাই সর্বশুদ্ধ সূর্য্য তাহার ২১,৭০০,০০,০০০ গুণ উত্তাপ শূন্যে বিকীরিত করিতেছে।

 কিছুকাল হইতে একটা কথা উঠিয়াছে, এইরূপ উত্তাপ বিক্ষেপ হেতু ক্রমশঃ দুধের উত্তাপের ভাণ্ডার ক্ষয় হইবার সম্ভাবনা; যে হেতু শক্তির ক্ষয় ব্যতীত উত্তাপ সঞ্চয় হওয়া সম্ভব নহে। বিজ্ঞানশাস্ত্রের একটি মুল সত্য এই যে, আপনা হইতে নুতন শক্তি উৎপন্ন হয় না শক্তি রূপান্ত্বরত হয় মাত্র।

 তাহা হইলে সূর্য্য সেই আদিম কাল হইতে উত্তাপ