ধাঁধা লাগে। কিন্তু শীতল হইবার অর্থই উত্তাপ বিক্ষেপ করা। কোন বস্তু যতই শীতল হইতে থাকে ততই আপন অঙ্গ হইতে বাহিরে উত্তাপ ফেলিয়া দেয়, এইরূপে তাহার উত্তাপ কমিয়া সে শীঘ্র শীতল হয় বটে কিন্তু তাহার বিক্ষিপ্ত উত্তাপ চতুস্পার্শ্বস্থ বস্তুর উপর কার্য্য করে— কোন বাষ্পীয় পদার্থে এই নিয়মটি বিশেষ রূপে খাটে -এখনকার বাষ্পময় সূর্য্য একেবারে শীতল হইয়া যতদিন ঘন অর্থাৎ তরল না হইবে, ততদিন এই নিয়মানুসারে সে উত্তাপ দিবে, ঘন হইয়া গেলে এ নিয়ম তাহাতে সম্পূর্ণ রূপে আর খাটিবে না। এইরূপে উত্তাপ বিক্ষেপ দ্বারা সূর্য্য যে উপ হারাইতেছে, আবার নূতন সঙ্কোচনের দ্বারা সে ক্ষয় পূরণ হইতেছে। উত্তাপ রক্ষণের এই মতটি যে কেবল প্রাকৃতিক নিয়মাবলীর অনুযায়ী তাহা নহে, অঙ্ক গণনা দ্বারাও ইহার সত্যতা প্রমাণীকৃত হয়।
সূর্য্য কত উত্তাপশক্তি ব্যয় করে, তাহা বিদিত বলিয়া সমভাবে উত্তাপ রক্ষা করিতে প্রতিবৎসর সূর্য্যের কতটুকু সঙ্কুচিত হইবার আবশ্যক তাহাও স্থির করিতে পারা যায়। এখন সূর্য্যের যেরূপ আয়তন, এই আয়তনে প্রত্যেক বৎসরে ২২০ ফিট সূর্য্য-ব্যাস সঙ্কুচিত হইলেই এখনকার উপ-পরিমাণ রক্ষিত হইবে। এই নিয়মানুসারে সূর্য্য ২৫ বৎসরে ১ মাইল ও এক শতাব্দীতে ৪ মাইল সঙ্কুচিত হইবার কথা। ইহা হইতে দেখা যাইতেছে, যত দিন