তাহার দুই মেরু ঈষৎ দমিয়া যায়, এবং তাহার বিষুব রেখার সন্নিকটস্থ প্রদেশ স্ফীত হইয়। উঠে। গোলকের আবর্ত্তনকালে তাহার সকল অংশ একই সময়ে একবার ঘুরিয়া আইসে; মেরুর নিকটস্থ স্থান যে সময়ে একটা ক্ষুদ্র রেখাকে বেষ্টন করে সেই সময়ের মধ্যে বিষুবরেখার নিকটস্থ স্থান একটা বৃহৎ রেখাকে আবর্ত্তন করে। যদি দুই বস্তু ক্ষুদ্র বৃহৎ দুইটি রেখাকে একই সময়ে আবর্ত্তন করে তবে বৃহৎ রেখা আবর্ত্তক বস্তুটি যে অধিক দ্রুতগামী তাহার সন্দেহ নাই। এক কথায় মেরুসন্নিহিত স্থান অপেক্ষ কোটিসন্নিহিত স্থানের কেন্দ্রাতিগ গতি অধিক বলিয় তাহ কেন্দ্রানুগ শক্তিকে অর্থাৎ কেন্দ্রের আকর্ষণকে অতিক্রম করিয়া স্ফীত হইয় উঠে এবং উভয় মেরু বিষ্ণু বরেখা অভিমুখে দমিয়া দুই দিক চাপা হইয়া পড়ে।
সূর্য্য-পরিত্যক্ত একটি বাষ্প-চক্র এই নিয়ম অনুসারে পৃথিবীর গোলক হইয়া দাঁড়াইল। পৃথিবীর গতির পরিমাণ অবলম্বন করিয়া নিউটন পৃথিবীর বিষুবরেখাস্থ প্রয়ে শের উন্নতি এবং মেরুসন্নিহিত প্রদেশের অবনতির যে পরিমাণ স্থির করেন, পরে পৃথিবীর এক প্রাক্ত হইতে অপর প্রান্ত, মাপিয়া তাহাই প্রতিপন্ন হয়। ১৭৩৬ খৃষ্টাব্দে ফরাসী বৈজ্ঞানিক সভ কর্তৃক ক্লেইরো, কামু লেমনিয়ে, লাপ্লাও দেশে প্রেরিত হন। সেখানে তাহারা আবি-উটিয়ে ও শেল্অস্যসের সহিত একত্রে যখন পৃথিবীর একটি বৃত্তাংশ