পাতা:পৃথিবী.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[৭২]

করিয়াছে। ইহা ছাড়া ভূগর্ভস্থ অগ্নির কার্য্য হেতুও পৃথিবীর পৃষ্ঠে নানা প্রকার পরিবর্ত্তন উপস্থিত হইয়াছে।

 সকল দ্রব্যই প্রায় তরল হইতে কঠিন অবস্থা প্রাপ্ত হইবার সময় আয়তনে ছোট হইতে থাকে। দ্রব ধাতব পদার্থ ঘন হইবার সময় সঙ্কুচিত হইয়া আয়তনে অনেক কমিয়া যায়। সেই নিমিত্ত ভূগর্ভ কালে শীতল হইয়া ঘন হইবার সঙ্গে সঙ্গে আয়তন হইয়া পৃথিবীর কঠিন আবরণের সহিত অসমন্ধ হইতে লাগিল। যেমন একটি তুলা, পূর্ণ বালিশের কতকগুলি তুলা খুলিয়া লইলে বালিটি তুবড়াইয়া যায়, তেমনি পৃথিবীর আভ্যন্তরিক পদার্থের আয়তন হ্রাস বশতঃ পৃথিবীর কঠিন আবরণ অন্তরে পূর্ব্বের ন্যায় নির্ভর না পাইয়া, তুবড়াইয়া কোন কোন স্থানে দমিয়া গেল, কোন কোন স্থানে উচ্চ হইয়া পর্বত মালায় পরিণত হইল। হিমালয় আল্প প্রভৃতি আধুনিক উচ্চ পর্বত সকল অধিকাংশ এইরূপে নির্ম্মিত। তাহাদের নিম্নস্থ স্তর প্রথম রে নিম্ন ভূমি কি সাগরতল বটে, কিন্তু ভূগর্ভের উষ্ণতার হ্রাস সহকারে, অপেক্ষাকৃত আধুনিক সময়ে হঠাৎ কি চারি দিকের ভূমি দমিয়া গেলে হিমালয় ও আলপ প্রভৃতি পর্ব্বত রূপে পরিণত হইয়াছে। কি এ ত শ্রেণী দেখিলে আমাদের মনে কি ভাব হয়? মনে করি চিরকাল হইতেই ইহা এইরূপ উন্নত অবস্থান বিরাজমান। কত অল্পে অল্পে