পাতা:পৃথিবী.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

{{rh||[৭৩]|}

কত যুগযুগান্তের স্তর সংস্থিতি দ্বারা ইহার ভিত্তি নির্ম্মিত হইয়া, অবশেষে উপরোক্ত প্রকারে উচ্চ হইয়া, পর্বত শ্রেণী রূপে পরিণত হইয়াছে, ইহা আমরা হঠাৎ কল্পনা করিতে পারি না।

 এইরূপ প্রণালী ছাড়া, অন্তরস্থ অগ্নির প্রভাবে কোন কোন অপেক্ষাকৃত পাতলা স্থান ফাটিয়া সেই গহ্বর দিয়া ধাতু-স্রোত নির্গত হওয়াতে কালে তাহা জমিয়াও বড় ছোট নানা প্রকারের পর্ব্বত হইতে লাগিল। কিন্তু এইরূপে প্রথমে যে সকল পর্ব্বত হইয়াছিল, তাহার অধিকাংশই সমুদ্রজলে পুনরায় বিনষ্ট হইয়াছে; তাহার ভগ্নাবশিষ্ট মৃত্তিকা ছাড়া এখন আর কিছুই নাই। সেই গহবর দিয়া গ্র্যানিট প্রস্তর (granite) ও অন্যান্য ধাতব পদার্থ ব্যতীত, ধাতব ও আকরিক পদার্থ মিশ্রিত উষ্ণ জলস্রোতও বহমান হইতে লাগিল। ঐ জল-মিশ্রিত ধাতুরেণুও স্থিতাইয়া কালে ভূপঞ্জর ঠিত করিয়াছে।

 নদীতে যে প্রণালীতে চর পড়ে সেই প্রণালীতে সমুদ্রস্থ পদার্থ-রেণু স্থানে স্থানে স্থিতাইয়া স্থল হইয়া উঠিল, আবার কোন স্থানের বা নব-নির্ম্মিত স্তররাশিকে অমনি চুরমার করিয়া আপন প্রভাবে সমুদ্র ভাসাইয়া লইয়া গেল। তাহা হইতে কালে আবার অন্য স্থল উৎপন্ন হইয়াছে। কত পর্ব্বত সমুদ্র-জলে গলিয়া, কত স্তর চূর্ণ বিচূর্ণ হইয়া সেই রেণুরাশিতে অবশেষে এই সকল দেশ