পাতা:পৃথিবী.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[৮০]

স্যার রাত্রির ন্যায় নানা প্রকার বাষ্পীয় পদার্থ সমাচ্ছন্ন অন্ধকার পৃথিবীর নিবিড় মেঘ ভেদ করিয়া সূর্য্য তখন ‘কিরণ দিতে পারি না। সেই উত্তপ্ত এবং চিররাত্র অন্ধকার পৃথিবীতে কি করিয়া প্রাণী দেখা দিবে? এই সময়কে azoic অর্থাৎ জীবন্ত সময় কথা যায়।

 ক্রমে একদিকে নিরবচ্ছিন্ন বৃষ্টি হইয়া মেঘমুক্ত সুর্য্য দেখা দিতে লাগিল, আর একদিকে পৃথিবীর আবরণ ক্রমশঃ পরিবর্তিত হইয়া প্রাণীর বাসোপযোগী হইতে লাগিল। সূর্যালোকই পৃথিবীর জীবন, সূর্যালোক না থাকিলে প্রাণী উৎপত্তি হইতে পারিত না।

 অগ্রে উদ্ভিদ কিম্বা অগ্রে জন্তু জন্মাইয়াছিল তাহা নির্ণয় করা দুরূহ, অতি পুরাকালের সমুদ্র-কর্দমে (arginlaceous schists) উদ্ভিদ ও জন্তু উভয়েরই দেহাবশেষ দেখা যায়। কিন্তু প্রথম যুগের অধিকাংশ সময়ে, বিশেষতঃ অঙ্গার-জনক যুগে উদ্ভিদই অধিক দেখিতে পাওয়া চায়, সে যুগে প্রাণী শক্তি বিরল। ইহা হইতে এরূপ অনুমান করা যায় যে উদ্ভিদ জীবের অথে জন্মিয়াছিল। বিশেষতঃ পৃথিবীর জীবন হলোচনা করিয়া দেখিলে যখন দেখা যায় পৃথিবী অল্পে অল্পে ক্রমশই উন্নতির দিকে গিয়াছে, তখন উদ্ভিদ হইতে জীব জন্তু উন্নততর প্রাণী বলিয়া উদ্ভিদ থে হইবারই অধিক সম্ভাবনা।