লায়েল এবং অধ্যাপক রামজে ইংলণ্ডের চতুষ্পশ্বস্থ চাখড়ি পর্বত উৎপত্তি সম্বন্ধে এই বলেন, যে এখনকার গ্রেট ব্রিটন ও তৎসন্নিহিত দেশ পুরাকালের কোন এক বৃহৎ মহাদেশের মধ্য দিয়া বহমান প্রকাও নদীর ব-দ্বীপের অবশেষ মাত্র। জোয়ার ভাটার কার্য্য বশতঃ সমুদ্রজলের সহিত মিশ্রিত চাখড়ি, সেই নদীর মোহনায় জমিয়া জমিয়া ক্রমে বৃহৎ বৃহৎ পর্বতরূপে পরিণত হইয়াছে। পূর্বোক্ত বৃহৎ মহাদেশ য়ুরোপ নহে, উহা এক্ষণে জলমগ্ন হইয়াছে। লায়েলের মতে উহা আমেরিকা কিম্বা আসিয়া অপেক্ষাও বৃহত্তর ছিল; তিনি আরো বলেন যে পৃথিবীর ইতিহাসে এইরূপ অনেক মহাদেশ বারম্বার জলমগ্ন হইয়াছে। চাখড়ির যে পর্বত গুলি স্থানে স্থানে দেখা যায় তাহা সেই মহাদেশের চিহ্নাবশেষ মাত্র। এই সময় হইতে পৃথিবীর বর্তমান আকৃতির সূত্রপাত। ফরাসী ভূবে লেকক বলেন যতই আমরা বর্তমান কালের নিকট আসিতেছি ততই দেখিতে পাই যে মেরুসন্নিহিত প্রদেশে মৃত্তিকা স্তর সংস্থিতি বন্ধ হইয়া মধ্যদেশই নুতন মৃত্তিকা সংস্থিতি দ্বারা ফুলিয়া উঠিতেছে।
এখনকার শীতাতপ প্রধানতঃ পৃথিবীর আভ্যন্তরিক উত্তাপের উপর নির্ভর করে না। সুতরাং এখন বৎসরে ঋতুর বিভাগ আরম্ভ হইল। শীতাতপের বৈষম্য হেতু পৃথিবীর উপরি ভাগে কটিবন্ধ প্রথম উৎপন্ন হইল। এখনকার