কহা যায়। ইহাদের বাহ্য আকার অনেকটা হাতীর মত, তবে হাতী অপেক্ষা ও ইহারা স্থূলচর্ম্মী এবং লম্বা। ইহাদের কসের দাঁতের বিভিন্ন গড়নই আধুনিক হস্তী হইতে: বিশেষ রূপে ভিন্ন করিয়াছে।
পেনসিলভেনিয়া ইউনিভারসিটির ধ্যাপক বারটন, খড়ি মত্তিকারের ৬ ফুট নীচে যে মাশটড়ন কঙ্কাল পাইয়াছিলেন, তাহার একটি দন্ত সতের পাউণ্ড ওজনে হইয়াছিল। উত্তর আমেরিকার আদিমবাসীরা ইহাকে বৃষের পিতা বলে। ফারি নামে এক জন ফরাসী, প্রাণীবেত্তা বুঁফকে লেখেন, ক্যানেড এবং লুইশিয়ান প্রদেশে যেখানে মাশটউন কঙ্কাল প্রচুর পাওয়া যায় সেই প্রদেশবাসীদের প্রত্যেক শ্রুতিপরম্পরায় ও পুরাণ গানে এই জয় কথা উল্লিখিত। তাহাদের একটি গানে আছে যখন মনিটর অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে নামিয়া, তাহার সৃষ্ট জন্তু সকল, কে কেমন সুখে আছে জিজ্ঞাসা করিলেন, তখন বাইসন অর্থাৎ আমেরিক মহিষ বলিল, “ঐ ভয়ানক বৃষপিতা পর্বত হইতে গর্জ্জিতে গর্জ্জিতে নামিয়া আমাদের কখন খাইতে আসেন তাহার দিকে লক্ষ্য না রাখিতে হইলে আমরা এই তৃণ-পূর্ণ ক্ষেত্রে চরিতে পাইয়া সম্পূর্ণ রূপে সুখী হইতে পারিতাম” আমেরিকার চৈন নামক প্রাচীন জাতির একটি প্রবাদ যে, পূর্ব্বে এই প্রকাণ্ড জন্তুরা, তাহাদের সমান প্রকাণ্ডাকার মনুষ্যের সহিত বাস করিত।