[ ১৪২ ৷ ] স্বৰ্য-নিক্ষিপ্ত রশ্মির সমস্ত, আকাশে বিকীর্ণ হইতে পায় না, সূর্য্যের বাষ্পীকরণ ভেদ করিয়া আসিবার সময় অন্ততঃ তাহার অৰ্দ্ধেক বাঙ্গাবরণে লীন হইয়া যায়, ইহা হইতে অধ্যাপক ল্যাংলি বলেন সেই সময়ে স্থৰ্য্যরশ্মি এখনকার অপেক্ষা অধিক পরিমাণে বাপুরেরণুে লীন হইয়াছিল বলিয়াই এই দুরন্ত শীতের আবির্ভাব হয় । কিন্তু অ্যাচহিমার এই প্রচণ্ড শীতকাল সম্বন্ধে যে জ্যোতির্ষিক কারণ অনুমান করিয়াছেন তাহা উহা অপেক্ষাও যুক্তিসিদ্ধ। এখন পৃথিবীর দক্ষিণাৰ্দ্ধ শীতকালে স্বৰ্য্য হইতে দূরে থাকে বলিয়া, সেখানে শীতের প্রভাব অধিক, এবং উত্তরাদ্ধ শীতকালে স্বর্ঘ্যের নিকটস্থ হয় বলিয়া এখানে অপেক্ষাকৃত শীত কম। উত্তরাদ্ধে শীতকালে যে পরিমাণে হিমশিলা জন্মে গ্রীষ্মকালে তাহার অধিকাংশ দ্রবীভূত হয়; দক্ষিণে অধিকাংশ স্থান চিরতুষারাবৃত ; হিমশৈলের কার্য্য দক্ষিণে অধিক বলবান। সুমেরু পৌছিবার স্কাশা আছে কুমেরু পৌছিবার আশা নাই। কিন্তু ক্রাক্তিপাতের বক্র গতি দ্বারা ১০০০০ বৎসরে পৃথিবীর উভয়াৰ্দ্ধ স্বৰ্য্য সম্পর্কে তাহার অবস্থিতি পরিবর্তন করে, উত্তরাপ্ত শীতকালে যদি অাজ জয়নমণ্ডলের নিকট-প্রান্তে থাকে, আর ১০০০০ বৎসরে তাহ শীতে দূরপ্রাস্তে পড়িবে এবং দক্ষিণাৰ্ধ আবার স্বর্ষ্যের সন্নিকটে অসিবে।
পাতা:পৃথিবী.djvu/১৯৫
অবয়ব