( ২ )
বাঙ্গলায় বৈজ্ঞানিক পুস্তক সঙ্কলন সম্বন্ধে প্রধান অসুবিধা পারিভাষিক শব্দের অভাব। এ পুস্তকে পূর্ব্ববর্ত্তী লেখক মহাশয়দিগের ব্যবহৃত শব্দ প্রায়ই গ্রহণ করা হইয়াছে—তবে দু একটি প্রচলিত শব্দের স্থানে অন্য শব্দও ব্যবহৃত হইয়াছে। সচরাচর অগ্ন্যুৎগারী পর্ব্বত সকলকে আগ্নেয় গিরি বলিয়া উল্লিখিত হয় কিন্তু সংস্কৃত সাহিত্যের জ্বালামুখী শব্দে যখন ঐ অর্থটি আরো সুস্পষ্ট হয় তখন সে কথাটিও বা বঙ্গভাষায় চলিবে না কেন? ঐ উৎকৃষ্ট কথাটি বঙ্গভাষায় প্রবেশার্থী করিয়া এ পুস্তকে ব্যবহার করিতে সাহসী হইয়াছি।[১] যে যে স্থানে পারিভাষিক শব্দের অপ্রতুল হইয়াছে সেই সেই স্থানে নূতন শব্দ রচনা করিতেও কুণ্ঠিত হই নাই। সকল নূতন রচিত কথাগুলিই যে গৃহীত হইবে তাহা প্রত্যাশা করি না। জীব জগতেও যেমন শব্দ জগতেও তেমনি—যাহা যোগ্য তাহাই জীবিত থাকিবে। যদি বিজ্ঞানের পারিভাষিক শব্দ গুলি, সকল ভাষায় একই রাখা যায়—তাহাতে ক্ষতি নাই, বরং ভাষার
- ↑ বোধ হয় এ কথাটি ব্যবহার করা অসঙ্গত হয় নাই, আশ্বিন মাসের ভারতীতে পৃথিবীর পরিণাম শীর্ষক প্রবন্ধে প্রথম ইহা ব্যবহার করা হয়। তাহার পর মাসে দেখিলাম চট্টগ্রামের ইতিবৃত্ত লেখক শ্রীযুক্ত কৈলাসচন্দ্র সিংহও ঐ অর্থে উহা ব্যবহার করিয়াছেন।