পাতা:পৃথিবী.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

٥/ع! রাখিয়া জ্যোতিৰ্ম্ময় রথের দ্বারা ভুবন সকল দেখিতে দেখিতে গমন করিতেছেন।” এই একটি ঋকের মধ্যে স্বৰ্য্য সম্পৰ্কীয় নবাবিষ্কৃত অনেকগুলি সত্য সন্নিবেশিত রহিয়াছে। অণু অণুকে আকর্ষণ করে মাধ্যাকর্ষণের এই যে একটি নিয়মু প্রাচীন গ্রন্থে ইহারও পরিচয় পাওয়া যায়। জৈন দর্শনে রহিয়াছে “অণুদিীনাং সংঘাতাং দ্বাণুকাদয় উৎপদ্যতে। তত্র স্বাবস্থিতাকৃষ্ট শক্তিরেবাদ্য সংযোগে কারণ ভাবমাপদ্যতে।” "অণুদিগের পরম্পর সংঘাতে দ্বি-অণু ইত্যাদি উৎপন্ন হয়। এস্থলে অণুদিগের মধ্যে অবস্থিত আকৃষ্ট শক্তিই অদ্যসংযোগে কারণত প্রাপ্ত হয়।” ইহার দ্বারা প্রত্যেক পরমাণুরই আকর্ষণ শক্তি বলা হইতেছে । আকর্ষণ শক্তি যে তখন জানা ছিল তাহা ইহা হইতে স্পষ্ট রূপে দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু এই আকর্ষণ শক্তির আবিস্কিয়ার জন্যই নিউটনের খ্যাতি নহে, তাহার পূৰ্ব্বেতেই হাইগেন্স প্রথমে কেন্দ্রকর্ষণ শক্তি বাহির করিয়াছিলেন । একটি সুকর্ষণ নিয়মের বশবৰ্ত্তী হইয়া যে বিশ্বচরাচর চালিত হইতেছে ইহাই নিউটন আমাদের প্রথমে শিক্ষা দেন এবং সেই জন্তই তিনি বিশেষরূপে প্রশংসনীয়। মাধ্যাকর্ষণের এই সুস্পষ্ট জ্ঞানটি আমরা এ পর্য্যস্ত প্রাচীন কোন