পাতা:পৃথিবী.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[১০]

এই আকর্ষণ-শক্তির পরিমাণের হাস বৃদ্ধি হয়। দুইটি বস্তুর মধ্যে যে ব্যবধান থাকিলে আকর্ষণের বলের পরিমাণ এক হইবে তাহার অপেক্ষা দ্বিগুণ ব্যবধান থাকিলে আকর্ষণ শক্তির পরিমাণ এক চতুর্থাংশ হইবে, এবং অর্ধেক ব্যবধান হইলে আকর্ষণের বল চতুর্গুন হইবে।

 নিউটন আরো বলেন কোন বস্তু একবার চালিত হইয়া যতক্ষণ বাধা না পায় ততক্ষণ ক্রমাগত চলিতে থাকে। পৃথিবী হইতে আমরা যদি কোন প্রস্তর-খণ্ড ছুড়ি তাহা চিরকাল না চলিবার প্রধান কারণ দুই; প্রথম, বাতাসের বাধা; দ্বিতীয়, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি।

 এখন প্রশ্ন এই যদি প্রত্যেক অণু প্রত্যেক অণুকে আকর্ষণ করে এবং অধিক অণুবিশিষ্ট বস্তু অল্প-অণুবিশিষ্ট বস্তুকে আত্মসাৎ করে তাহা হইলে সূর্য্য, গ্রহ-মণ্ডলীকে কেন আত্মসাৎ করে না?

 যদি কেবল মাত্র সূর্য্যের আকর্ষণী শক্তিই গ্রহদিগের উপর কার্য্য করিত তাহা হইলে গ্রহগণ সূর্য্য দ্বারা বিলুপ্ত হইত। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে সৌরাকর্ষণ ব্যতীত গ্রহদিগের নিজের নিজের আবার একটি গতি আছে।

 শক্তির একটি সাধারণ ধর্ম্ম এই যে শক্তি দ্বারা কোন পদার্থ একবার চালিত হইয়া যদি অন্য কোন প্রতি বাধক শক্তির দ্বারা বাধা না পায় তবে তাহা চিরকাল সরল রেখা-পথে চলিবে, এ নিমিত্ত, সূর্য্যের