সূর্য্য-প্রদক্ষিণের পথ। পৃথিবী যখন ক চিহ্নিত স্থানে পৌঁছিয়া খ সরল রেখায় যাইতে যত্নশীল তথনি সূর্য্যের কেন্দ্রাকর্ষণ দ্বারা খ স্থানে যাইতে না পাইয়া বৃত্তাকার পথে ঘুরিয়া পড়িতেছে, এইরূপে ক্রমে চ চিহ্নিত স্থানে সরিয়া সেখান হইতে আবার সরল রেখায় যাইতে উদ্যত কিন্তু সূর্য্য তাহাতে বাধা দিয়া আবার টানিতে থাকে তখন পৃথিবী ট স্থানে ঘুরিয়া আসিয়া ঠ রেখায় পলাইতে যায়।
এইরূপে সুর্য্যের আকর্ষণ ও নিজ নিজ কেন্দ্রাতিগ শক্তির বলে গ্রহগণ সূর্য্যকে ক্রমাগত আবর্ত্তন করিতেছে। এই দুই শক্তির যতক্ষণ সামঞ্জস্য ততক্ষণ কেহই কক্ষচ্যুত হয়, ইহার কোনটার আধিক্য হইলেই অমনি বিশৃঙ্খলতা ঘটে। ধূমকেতুর অতি জটিল গতিবিধিও এই নিয়ম-প্রসূত। গণিতজ্ঞ পণ্ডিতেরা এই দুইটি নিয়ম অবলম্বন করিয়া অবরোহী প্রণালী অনুসারে সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডের শাসনতন্ত্র নির্ধাবিত করিতে পারিয়াছেন।
যে সকল গ্রহ উপগ্রহের কথা উল্লেখ করা হইল তাহা ব্যতীত আমরা কখনো কখনো যে ধূমকেতু এবং উল্কাপিণ্ড দেখিতে পাই, তাহারা সূর্য্যের পরিবার-ভুক্ত কিম্বা সৌর জগতের অতিথি মাত্র এ বিষয়ে অনেক বাদানুবাদ আছে। ধুমকেধু সম্বন্ধে অনেক প্রাচীন কাল হইতে একটি কুসংস্কার দেখা যায়। 'ধুমকেতোরুদয়েন প্রজায়ং সুচ্যতে' ধূমকেতু যেরূপ পথে সুর্য্যকে প্রদক্ষিণ করে তাহা গ্রহগণ হইতে ভিন্ন