প্রকারে অনুভূত হইতে পারে। গমনশীল বস্তুর মধ্যে লোক থাকিলে সে এক প্রকার গতি অনুভব করে,আর স্থির বস্তুর মধ্যে যে লোক থাকে সে আর এক প্রকার গতি অনুভব করে। প্রথমোক্ত লোক মনে করে নিজের অধিকৃত বস্তু স্থির আছে এবং স্থির বস্তুটি বিপরীত দিকে সরিয়া যাইতেছে। শেষোক্ত ব্যক্তি ঠিক ইহার বিপরীত অনুভব করে। সৌর জগৎ সম্বন্ধেও এইরূপ। পৃথিবী, সূর্য্য প্রভৃতি জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর তুলনায় একটি বালুকা-কণা হইতেও ক্ষুদ্র, ব্রহ্মাণ্ড অনন্ত অসীম। এই অনন্ত অসীম ব্রহ্মাণ্ডের, পৃথিবীর চারিদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একবার ঘুরিতে অনন্তু গতি শক্তির আবশ্যক, এবং পরস্পর হইতে অসীম দূরে অবস্থিত জ্যোতিষ্ক মণ্ডলীর যে ঠিক সময়ে পৃথিবীকে আবর্ত্তন করিবে ইহাও সম্ভাব্য নহে। এই নিমিত্ত কোপর্ণিকস প্রথমে সিদ্ধান্ত করেন পৃথিবী ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিম হইতে পূর্বাভিমুখে ঘুরিয়া আপনাকে আপনি একবার আবর্ত্তন করে, সেই জন্য আমাদের মনে হয় সূর্যাদি নক্ষত্রমণ্ডলী পূর্ব্ব হইতে পশ্চিমে চলিতেছে।
বর্ত্তমান সময়ের সর্ব্ববাদিসম্মত বিশ্বাস এই যে পৃথিবী ঈষদুন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একবার আপনার মেরুদণ্ডের চারিদিকে ঘুরিয়া আবার পূর্বাবস্থায় ফিরিয়া আইসে, (ইহাই পৃথিবীর আহ্নিক গতি) এবং সূর্য্যাদি জ্যোতিষ্কমণ্ডলী পৃথিবী সম্পর্কে স্থির। এই আহিক গতিই দিন রাত্রির কারণ।