পাতা:পোকা-মাকড়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
স্পঞ্জ্
৪৭

কি? তোমরা যদি স্পঞ্জের একটু টুক্‌রা খুব পাতলা করিয়া কাটিয়া অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়া পরীক্ষা করিতে পার, তাহা হইলে দেখিবে, রেশমের সূতার মত অনেক সরু সূতা দিয়া স্পঞ্জ্ প্রস্তুত হইয়াছে। সূতাগুলি গায়ে গায়ে এমন জমাটভাবে লাগানো থাকে যে, খালি-চোখে সেগুলিকে দেখাই যায় না। গুটি-পোকারা যে জিনিস দিয়া রেশমের সূতা প্রস্তুত করে, স্পঞ্জ্ও ঠিক সেই জিনিস দিয়া প্রস্তুত হয়।

 এখন স্পঞ্জ্-প্রাণী ও তাহাদের ঘর-বাড়ীর কথা একটু বিশেষভাবে আলোচনা করা যাউক।

 তোমর এক টুক্‌রা স্পঞ্জ্ যদি ভালো করিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া পরীক্ষা কর, তবে দেখিবে, তাহাতে কয়েকটি বড় বড় ছিদ্র আছে এবং অনেক ছোট ছিদ্রযুক্ত সুড়ঙ্গ বাহির হইতে আসিয়া সেই বড় ছিদ্রে শেষ হইয়াছে। স্পঞ্জের প্রাণী ঐ সকল ছিদ্রের গায়ে জিউলির আঠার মত লাগিয়া থাকে। বড় ছিদ্রে প্রাণীর দেহের যে অংশ থাকে, তাহা হইতে অনেকগুলি শুঁয়ো বাহির হয়। ইহারা যত দিন জীবিত থাকে, ততদিন ঐ শুঁয়োগুলি নাড়িতে থাকে। যেদিন ভয়ানক গরম এবং একটুও বাতাস নাই, তখন আমরা তালের পাখা নাড়িয়া বাতাস খাই। পাখা নাড়া পাইলেই খানিকটা বাতাস ঠেলিয়া দূরে লইয়া যায়। এই রকমে যে জায়গাটা খালি হয়, পাশের বাতাস জোরে আসিয়া সেই জায়গা জুড়িয়া বসে। বাতাসের এই রকম যাওয়া-আসাতে পাখার কাছে একটা