38
বালিকা । সন্ন্যাসী ।
বালিকা ।
সন্ন্যাসী ।
চতুর্থ দৃশ্য
পথপার্শ্বে বালিকার ভগ্নকুটির
পিতা !
আহা, পিতা বলে কে ডাকিলি ওরে ! সহসা শুনিয়া যেন চমকি উঠিলু । কী শিক্ষা দিতেছ, প্রভু, বুঝিতে পারি নে। শুধু বলে দাও মোরে আশ্রয় কোথায় । কে আমারে ডেকে নেবে, কাছে করে নেবে, মুখ তুলে মুখপানে কে চাহিবে মোর ? আশ্রয় কোথায় পাবি এ সংসার-মাঝে !
এ জগৎ অন্ধকার প্রকাণ্ড গহবর— আশ্রয় আশ্রয় ব’লে শত লক্ষ প্রাণী বিকট গ্রাসের মাঝে ধেয়ে পড়ে গিয়া, বিশাল জঠরকুণ্ডে কোথা পায় লোপ। মিথ্যা রাক্ষসীরা মিলে বাধিয়াছে হাট, মধুর দুভিক্ষরাশি রেখেছে সাজায়ে, তাই চারি দিক হতে আসিছে অতিথি । যত খায় ক্ষুধা জ্বলে, বাড়ে অভিলাষ, অবশেষে সাধ যায় রাক্ষসের মতো জগৎ মুঠায় করে মুখেতে পুরিতে। হেথা হতে চলে আয়— চলে আয় তোরা । এখানে তো সকলেই সুখে আছে পিতা ! দূরেতে দাড়িয়ে আমি চেয়ে চেয়ে দেখি ! হায় হায়, ইহাদের বুঝাব কেমনে! সুখ দুঃখ সে তো, বাছা, জগতের পীড়া ! জগৎ জীবন্ত মৃত্যু– অনন্ত যন্ত্রণা !
S 0
> (t
૨ 0
পাতা:প্রকৃতির প্রতিশোধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
