পারে নাই; এবং তাহারই সহকারিতায় তাঁহার সংস্কৃত সাহিত্যের চর্চ্চা পুরা দমেই চলিয়াছিল।
রসিকদাদা শৈলবালার অদ্ভূত প্রস্তাব শুনিয়া প্রথমটা হাঁ করিয়া রছিলেন, তাহার পর হাসিতে লাগিলেন, তাহার পর রাজি হইয়া গেলেন। কহিলেন, ভগবান হরি নারী-ছদ্মবেশে পুরুষকে ভুলিয়ে ছিলেন, তুই শৈল যদি পুরুষ-ছদ্মবেশে পুরুষকে ভোলাতে পারিস্ তাহলে হরিভক্তি উড়িয়ে দিয়ে তোর পূজোতেই শেষ বয়সটা কাটাব। কিন্তু মা যদি টের পান?
শৈল। তিন কন্যাকে কেবলমাত্র স্মরণ করেই মা মনে মনে এত অস্থির হয়ে ওঠেন যে, তিনি আমাদের আর খবর রাখতে পারেন না। তাঁর জন্যে ভেবো না।
রসিক। কিন্তু সভায় কি রকম করে সভ্যতা করতে হয় সে আমি কিছুই জানিনে।
শৈল। আচ্ছা সে আমি চালিয়ে নেব।
শ্রীশ। তা যাই বল অক্ষয়বাবু যখন আমাদের সভাপতি ছিলেন তখন আমাদের চিরকুমার সভা জমেছিল ভাল। হাল সভাপতি চন্দ্রবাবু কিছু কড়া।
বিপিন। তিনি থাক্তে রস কিছু বেশি জমে উঠেছিল—চিরকৌমার্য্যব্রতের পক্ষে রসাধিক্যটা ভাল নয় আমার ত এই মত।
শ্রীশ। আমার মত ঠিক উলটাে। আমাদের ব্রত কঠিন বলেই রসের দরকার বেশি। রুক্ষ মাটিতে ফসল ফলাতে গেলে কি জল সিঞ্চনের