পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।
১৫৫

 পুর। কি যে তর্ক কর তোমার অর্দ্ধেক কথা বোঝাই যায় না।

 অক্ষয়। তার কারণ আমি নির্ব্বোধ।

 পুর। যাও এখন স্নান করতে যাও, মাথা ঠাণ্ডা করে এস গে!

(প্রস্থান)

রসিকের প্রবেশ।

 শৈল। রসিক দাদা, শুনেছ ত সব? মুস্কিলে পড়া গেছে।

 রসিক। মুস্কিল কিসের? কুমার সভারও কৌমার্য্য রয়ে গেল নৃপ নীরুও পার পেলে, সব দিক রক্ষা হল।

 শৈল। কোন দিক রক্ষা হয় নি।

 রসিক। অন্ততঃ এই বুড়োর দিকটা রক্ষা হয়েছে—দুটো অর্ব্বাচীনের সঙ্গে মিশে আমাকে রাত্রে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শ্লোক আওড়াতে হবে না।

 শৈল। মুখুজ্জে মশায়, তুমি না হলে রসিক দাদাকে কেউ শাসন করতে পারে না―উনি আমাদের কথা মানেন না।

 অক্ষয়। যে বয়সে তোমাদের কথা বেদবাক্য বলে মান্‌তেন সে বয়স পেরিয়েছে কি না তাই লোকটা বিদ্রোহ করতে সাহস করচে। আচ্ছা আমি ঠিক করে দিচ্চি। চল ত রসিক দা, আমার বাইরের ঘরটাতে বসে তামাক নিয়ে পড়া যাক্।


(১৩)

 ওস্তাদ্ আসীন। তানপূরা হস্তে বিপিন অত্যন্ত বেসুরা গলায় সা রে গা মা সাধিতেছেন। ভৃত্য আসিয়া খবর দিল—একটি বাবু এসেছেন।

 বিপিন। বাবু? কি রকম বাবু রে?

 ভৃত্য। বুড়ো লোকটি।