এস! (ওস্তাদের প্রস্থান) কি করব বল, গান না শিখ্লে ত আর তোমার সন্ন্যাসীদলে আমল পাওয়া যাবে না।
শ্রীশ। আচ্ছা, তুমি যে সারেগামা সাধ্তে বসেছ, কুমার সভার সেই লেখাটায় হাত দিতে পেরেছ?
বিপিন। ভাই সেটাতে এখনো হাত দিতে পারিনি। তোমার লেখাটি হয়ে গেছে নাকি?
শ্রীশ। না আমিও হাত দিইনি! (কিয়ৎক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া) ভাই ভারি অন্যায় হচ্চে। ক্রমেই আমরা আমাদের সঙ্কল্প থেকে যেন দুরে চলে যাচ্চি।
বিপিন। অনেক সঙ্কল্প ব্যাঙাচির ল্যাজের মত, পরিণতির সঙ্গে সঙ্গে আপনি অন্তর্দ্ধান করে। কিন্তু যদি ল্যাজ টুকুই থেকে যেত, আর ব্যাংটা যেত শুকিয়ে, সে কি রকম হত? এক সময়ে একটা সংকল্প করেছিলেম বলেই যে সেই সংকল্পের খাতিরে নিজেকে শুকিয়ে মারতে হবে আমি ত তার মানে বুঝিনে।
শ্রীশ। আমি বুঝি! অনেক সংকল্প আছে যার কাছে নিজেকে শুকিয়ে মারাও শ্রেয়! অফলা গাছের মত আমাদের ডালে পালায় প্রতি দিন যেন অতিরিক্ত পরিমাণ রস সঞ্চার হচ্ছে এবং সফলতার আশা প্রতি দিন যেন দূর হয়ে যাচ্চে। আমি ভুল করেছিলুম ভাই বিপিন―সব বড় কাজেই তপস্যা চাই, নিজেকে নানা ভোগ থেকে বঞ্চিত না করলে, নানা দিক থেকে প্রত্যাহার করে না আন্তে পারলে চিত্তকে কোন মহৎ কাজে সম্পূর্ণভাবে নিযুক্ত করা যায় না—এবার থেকে রসচর্চ্চা একেবারে পরিত্যাগ করে কঠিন কাজে হাত দেব―এই রকম প্রতিজ্ঞা করেছি।
বিপিন। তোমার কথা মানি। কিন্তু সব তৃণেইত ধান ফলে না— শুকতে গেলে কেবল নাহক্ শুকিয়ে মরাই হবে ফল ফলবে না। কিছু