বিপিন। আমরা কি নিজের স্বাধীনতার জন্যেই কেবল ব্যস্ত? আমাদের এতই স্বার্থপর মনে করেন?
রসিক। মাপ করবেন—আমার ভুল ধারণা ছিল।
শ্রীশ। আপনি যাই বলুন, ফস্ করে ভাল পাত্র পাওয়া বড় শক্ত!
রসিক। সেই জন্যেই ত এতদিন অপেক্ষা করে শেষে এই বিপদ! বিবাহের প্রসঙ্গমাত্রই আপনাদের কাছে অপ্রিয় তবু দেখুন্ আপনাদের সুদ্ধ―
বিপিন। সে জন্যে কিছু সঙ্কোচ করবেন না―
শ্রীশ। আপনি যে আর কারো কাছে না গিয়ে আমাদের কাছে এসেচেন, সেজন্যে অন্তরের সঙ্গে ধন্যবাদ দিচ্চি!
রসিক। আমি আর আপনাদের ধন্যবাদ দেব না! সেই কন্যা দুটির চিরজীবনের ধন্যবাদ আপনাদের পুরষ্কৃত করবে।
বিপিন। ওরে পাখাটা টান্।
শ্রীশ। রসিক বাবুর জন্যে যে জলখাবার আনাবে বলেছিলে―
বিপিন। সে এল বলে! ততক্ষণ এক গ্লাস বরফ দেওয়া জল খান―
শ্রীশ। জল কেন লেমনেড আনিয়ে দাও না। (পকেট্ হইতে টিনের বাক্স বাহির করিয়া) এই নিন্ রসিক বাবু পান খান্!
বিপিন। ওদিকে কি হাওয়া পাচ্ছেন? এই তাকিয়াটা নিন্ না।
শ্রীশ। আচ্ছা, রসিকবাবু, নৃপবালা, বুঝি খুব বিষন্ন হয়ে পড়েছেন―
বিপিন। নীরবালাও অবশ্য খুব―
রসিক। সে আর বল্তে।
শ্রীশ। নৃপবালা বুঝি কান্নাকাটি করচেন?
বিপিন। আচ্ছা নীরবালা তাঁর মাকে কেন একটু ভাল করে বুঝিয়ে বলেন না―