উপস্থিত। আমাদের দেখেই ত কুণ্ঠিত, সচকিত, লজ্জায় মুখ রক্তিমবর্ণ। হাত জোড়া, মাথায় কাপড় দেবার জো নেই। তাড়াতাড়ি টেবিলের উপর খাবার রেখেই ছুট্। ব্রাহ্ম বটে কিন্তু তেত্রিশ কোটির সঙ্গে লজ্জাকে বিসর্জ্জন দেয় নি এবং সত্য বলচি শ্রীকেও রক্ষা করেছে।
শ্রীশ। বল কি বিপিন, দেখতে ভাল বুঝি?
বিপিন। দিব্যি দেখ্তে। হঠাৎ যেন বিদ্যুতের মত এসে পড়ে পড়াশুনোয় বজ্রাঘাত করে গেল।
শ্রীশ। আহা, কই, আমি ত একদিনো দেখিনি! মেয়েটি কে হে!
বিপিন। আমাদের সভাপতির ভাগ্নী, নাম নির্ম্মলা।
শ্রীশ। কুমারী?
বিপিন। কুমারী বই কি। তার ঠিক পরেই পূর্ণ হঠাৎ আমাদের কুমার সভায় নাম লিখিয়েছে।
শ্রীশ। পূজারি সেজে ঠাকুর চুরি করবার মতলব?
বিপিন। কি মশায়, আপনি কে?
উক্তব্যক্তি। অজ্ঞে আমার নাম শ্রীবনমালী ভট্টাচার্য্য, ঠাকুরের নাম ৺ রামকমল ন্যায়চুঞ্চু, নিবাস—
শ্রীশ। আর অধিক আমাদের ঔৎসুক্য নেই। এখন কি কাজে এসেচেন সেইটে—
বন। কাজ কিছুই নয়। আপনার ভদ্রলোক আপনাদের সঙ্গে আলাপ পরিচয়—
শ্রীশ। কাজ আপনার না থাকে আমাদের আছে। এখন, অন্য কোনো ভদ্রলোকের সঙ্গে যদি আলাপ পরিচয় করতে যান তাহলে আমাদের একটু—