নির্ম্মলা। হাঁ, পূর্ণ বাবুর ব্যবহার আমার কাছে মাঝে মাঝে অত্যন্ত নির্ব্বোধের মত ঠেকেছিল।
চন্দ্র। অথচ পূর্ণবাবু খুব বুদ্ধিমান্। তাহলে তোমাকে খুলে বলি―পূর্ণবাবু বিবাহের প্রস্তাব করে পাঠিয়েছেন―
নির্ম্মলা। তুমি ত তাঁর অভিভাবক নও―তোমার কাছে প্রস্তাব―
চন্দ্র। আমি যে তোমার অভিভাবক—এই পড়ে দেখ।
নির্ম্মলা। (পত্র পড়িয়া রক্তিম মুখে) এ হতেই পারে না।
চন্দ্র। আমি তাঁকে কি বল্ব?
নির্ম্মলা। বোলো, কোন মতে হতেই পারে না।
চন্দ্র। কেন নির্ম্মল, তুমি ত বল্ছিলে কুমারব্রত পালনের নিয়ম, সভা হতে উঠিয়ে দিতে তোমার আপত্তি নেই।
নির্ম্মলা। তাই বলেই কি যে প্রস্তাব কর্বে তাকেই―
চন্দ্র। পূর্ণ বাবু ত যে সে নয়, অমন ভাল ছেলে―
নির্ম্মলা। মামা, তুমি এসব বিষয়ে কিছুই বোঝ না, তোমাকে বোঝাতে পারবও না―আমার কাজ আছে। (প্রস্থানোদ্যম) মামা, তোমার পকেটে ওটা কি উচু হয়ে আছে?
চন্দ্র। (চমকিয়া উঠিয়া) হাঁ হাঁ ভুলে গিয়েছিলেম—বেহারা আজ সকালে তোমার নাম লেখা একটা কাগজ আমাকে দিয়ে গেছে―
নির্ম্মলা। (তাড়াতাড়ি কাগজ লইয়া) দেখ দেখি মামা, কি অন্যায়, অবলাকান্ত বাবুর লেখাটা সকালেই এসেছে আমাকে দাওনি? আমি ভাবছিলেম তিনি হয়ত ভুলেই গেছেন—ভারি অন্যায়!
চন্দ্র। অন্যায় হয়েছে বটে। কিন্তু এর চেয়ে ঢের বেশী অন্যায় ভুল আমি প্রতিদিনই করে থাকি ফেনি—তুমিই ত আমাকে প্রত্যেকবার সহাস্যে মাপ করে করে প্রশ্রয় দিয়েছ।
নির্ম্মলা। না, ঠিক অন্যায় নয়—আমিই অবলাকান্ত বাবুর প্রতি