পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।
১৬৯

মনে মনে অন্যায় কর্‌ছিলেম, ভাব্‌ছিলেম—এই যে রসিক বাবু আস্‌চেন। আসুন রসিক বাবু, মামা এইখানেই আছেন।

রসিকের প্রবেশ।

 চন্দ্র। এই যে রসিকবাবু এসেছেন ভালই হয়েছে।

 রসিক। আমার আসাতেই যদি ভাল হয় চন্দ্রবাবু তাহলে আপনাদের পক্ষে ভাল অত্যন্ত সুলভ। যখনি বলবেন তখনি আসব, নাবল্লেও আস্‌তে রাজি আছি।

 চন্দ্র। আমরা মনে করছি আমাদের সভা থেকে চিরকুমার ব্রতের নিয়মটা উঠিয়ে দেব—আপনি কি পরামর্শ দেন?

 রসিক। আমি খুব নিঃস্বার্থভাবেই পরামর্শ দিতে পারব, কারণ, এ ব্রত রাখুন বা উঠিয়ে দিন আমার পক্ষে দুই সমান। আমার পরামর্শ এই যে উঠিয়ে দিন, নইলে সে কোন দিন আপনিই উঠে যাবে। আমাদের পাড়ার রামহরি মাতাল রাস্তার মাঝখানে এসে সকলকে ডেকে বলেছিল, বাবাসকল, আমি স্থির করেছি এইখানটাতেই আমি পড়ব! স্থির না করলেও সে পড়ত, অতএব স্থির করাটাই তার পক্ষে ভাল হয়েছিল।

 চন্দ্র। ঠিক বলেচেন রসিকবাবু, যে জিনিষ বলপূর্ব্বক আস্‌বেই তাকে বল প্রকাশ করতে না দিয়ে আসতে দেওয়াই ভাল। আসচে রবিবারের পূর্ব্বেই এই প্রস্তাবটা সকলের কাছে একবার তুলতে চাই।

 রসিক। আচ্ছা শুক্রবারের সন্ধ্যাবেলায় আপনারা আমাদের ওখানে যাবেন আমি সকলকে সংবাদ দিয়ে আনাব।

 চন্দ্র। রসিকবাবু, আপনার যদি সময় থাকে তা হলে আমাদের দেশে গোজাতির উন্নতি সম্বন্ধে একটা প্রস্তাব আপনাকে―

 রসিক। বিষয়টা শুনে খুব ঔৎসুক্য জন্মাচ্চে, কিন্তু সময় খুব যে বেশী―

 নির্ম্মলা। না রসিকবাবু, আপনি ও ঘরে চলুন, আপনার সঙ্গে