পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭০
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।

অনেক কথা কবার আছে। মামা, তোমার লেখাটা শেষ কর, আমরা থাক্‌লে ব্যাঘাত হবে।

 রসিক। তা হলে চলুন।

 নির্ম্মলা। (চলিতে চলিতে) অবলাকান্ত বাবু আমাকে তাঁর সেই লেখাটা পাঠিয়ে দিয়েছেন―আমার অনুরোধ যে তিনি মনে করে রেখেছিলেন সে জন্যে আপনি তাঁকে আমার ধন্যবাদ জানাবেন!

 রসিক। ধন্যবাদ না পেলেও আপনার অনুরোধ রক্ষা করেই তিনি কৃতার্থ।


(১৫)

 জগত্তারিণী। বাবা অক্ষয়! দেখত, মেয়েদের নিয়ে আমি কি নেপ বসে বসে কাঁদচে, নীর রেগে অস্থির, সে বলে সে কোন মতেই বেরবে না। ভদ্রলোকের ছেলেরা আজ এখনি আসবে, তাদের এখন কি বলে ফেরাবে! তুমিই বাপু ওদের শিখিয়ে পড়িয়ে বিবি করে তুলেছ এখন তুমিই ওদের সামলাও!

 পুরবালা। সত্যি, আমিও ওদের রকম দেখে অবাক্ হয়ে গেছি ওরা কি মনে করেছে ওরা―

 অক্ষয়। বোধ হয় আমাকে ছাড়া আর কাউকে ওরা পছন্দ করচে না; তোমারই সহোদরা কিনা, রুচিটা তোমারি মত!

 পুরবালা। ঠাট্টা রাখ, এখন ঠাটার সময় নয়—তুমি ওদের একটু বুঝিয়ে বলবে কি না বল! তুমি না বল্লে ওরা শুনবে না!

 অক্ষয়। এত অনুগত! একেই বলে ভগ্নীপতিব্রতা শ্যালী! আচ্ছা আমার কাছে একবার পাঠিয়ে দাও,―দেখি! (জগত্তারিণী ও পুরবালার প্রস্থান)