পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।
১৭৭

 শ্রীশ। এখন থেকে এদের জন্যে ভাবা আমাদের পক্ষে গর্ব্বের বিষয় গৌরবের বিষয়!

 রসিক। তা বেশ, ভাববেন, কিন্তু বোধ হয় ভাবা ছাড়া আর কোন কষ্ট করতে হবে না।

 শ্রীশ। আচ্ছা রসিক বাবু, আমাদের কষ্ট স্বীকার করতে দিতে আপনার এত আপত্তি হচ্ছে কেন?

 বিপিন। এঁদের জন্যে যদিই আমাদের কোন কষ্ট করতে হয় সেটা যে আমরা সম্মান বলে জ্ঞান করব।

 শ্রীশ। দু’দিন ধরে রসিকবাবু, বেশী কষ্ট পেতে হবে না বলে আপনি ক্রমাগতই আমাদের আশ্বাস দিচ্চেন—এতে আমরা বাস্তবিক দুঃখিত হয়েছি।

 রসিক। আমাকে মাপ করবেন—আমি আর কখন এমন অবিবেচনার কাজ করব না, আপনারা কষ্ট স্বীকার করবেন!

 শ্রীশ। আপনি কি এখনো আমাদের চিন্‌লেন না?

 রসিক। চিনেছি বই কি, সেজন্যে আপনারা কিন্তু মাত্র চিন্তিত হবেন না।

কুণ্ঠিত নৃপ ও নীরবালার প্রবেশ।

 শ্রীশ। (নমস্কার করিয়া) রসিক বাবু, আপনি এঁদের বলুন আমাদের যেন মার্জ্জনা করেন।

 বিপিন। আমরা যদি ভ্রমেও ওঁদের লজ্জা বা ভয়ের কারণ হই তবে তার চেয়ে দুঃখের বিষয় আমাদের পক্ষে আর কিছু হতে পারে না, সে জন্যে যদি ক্ষমা না করেন তবে—

 রসিক। বিলক্ষণ! ক্ষমা চেয়ে অপরাধিনীদের অপরাধ আরো বাড়াবেন না। এঁদের অল্প বয়স, মান্য অতিথিদের কি রকম সম্ভাষণ করা উচিত তা যদি এঁরা হঠাৎ ভুলে গিয়ে নতমুখে দাঁড়িয়ে থাকেন