বিপিনের প্রতি) কিন্তু বিপিন, এঁদের ত প্রতারণা করে যেতে পারব না!
বিপিন। (জনান্তিকে) তা যদি করি তবে আমরা পাষণ্ড!
শ্রীশ। (জনান্তিকে) এখন আমাদের কর্ত্তব্য কি।
বিপিন। (জনান্তিকে) সে কি আর জিজ্ঞাসা করতে হবে?
রসিক। আপনারা দেখছি ভয় পেয়ে গেছেন! কোন আশঙ্কা নেই শেষকালে যেমন করেই হোক্ আমি আপনাদের উদ্ধার করবই।
অক্ষয় ও জগত্তারিণীর প্রবেশ।
জগৎ। দেখলে ত বাবা, কেমন ছেলে দুটি?
অক্ষয়। মা, তোমার পছন্দ ভাল, এ কথা আমি ত অস্বীকার করতে পারি নে!
জগৎ। মেয়েদের কম দেখলে ত বাবা! এখন কান্নাকাটি কোথায় গেছে তার ঠিক নেই!
অক্ষয়। ঐ ত ওদের দোষ! কিন্তু মা, তোমাকে নিজে গিয়ে আশীর্ব্বাদ দিয়ে ছেলে দুটিকে দেখতে হচ্ছে।
জগৎ। সে কি ভাল হবে অক্ষয়? ওরা কি পছন্দ জানিয়েছে?
অক্ষয়। খুব জানিয়েছে। এখন তুমি নিজে এসে আশীর্ব্বাদ করে গেলেই চট্পট্ স্থির হয়ে যায়!
জগৎ। তা বেশ, তোমরা যদি বল, ত যাব, আমি ওদের মার বয়সী, আমার লজ্জা কিসের!
পুরবালার প্রবেশ।
পুর। খাবার গুছিয়ে দিয়ে এসেছি। ওদের কোন্ ঘরে বসিয়েছে আমি আর দেখ্তেই পেলুম না।
জগৎ। কি আর বল্ব পুরো, এমন সোনার চাঁদ ছেলে!