চন্দ্র। আমার মত এক সময় ভ্রান্ত ছিল সে কথা স্বীকার করছি, আপনারা এখনো সেই মতেই―
রসিক। এই যে পূর্ণবাবু আস্চেন! আসুন্ আসুন্!
পূর্ণর প্রবেশ।
চন্দ্র। পূর্ণবাবু, তোমার প্রস্তাবমতে আমাদের সভা থেকে কুমার ব্রত তুলে দেবার জন্যেই আজ আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। কিন্তু শ্রীশবাবু এবং বিপিনবাবু অত্যন্ত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এখন ওদের বোঝাতে পারলেই—
রসিক। ওঁদের বোঝাতে আমি ত্রুটি করিনি চন্দ্রবাবু―
চন্দ্র। আপনার মত বাগ্মী যদি ফল না পেয়ে থাকেন তা হলে―
রসিক। ফল যে পেয়েছি তা ফলেন পরিচীয়তে।
চন্দ্র। কি বলচেন ভাল বুঝতে পারচিনে।
ওহে রসিক দা, চন্দ্রবাবুকে খুব স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার। আমি দুটি প্রত্যক্ষ প্রমাণ এখনি এনে উপস্থিত কর্চি!
শ্রীশ। পূর্ণবাবু, ভাল আছেন ত?
পূর্ণ। হাঁ।
বিপিন। আপনাকে একটু শুক্নো দেখাচ্ছে।
পূর্ণ। না, কিছু না।
শ্রীশ। আপনাদের পরীক্ষার আর ত দেরী নেই।
পূর্ণ। না।
(নৃপ ও নীরকে লইয়া অক্ষয়ের প্রবেশ।)
অক্ষয়। (নৃপ ও নীরর প্রতি) ইনি চন্দ্রবাবু ইনি তোমাদের গুরুজন, এঁকে প্রণাম কর। (নৃপ নীরর প্রণাম) চন্দ্রবাবু, নূতন নিয়মে আপনাদের সভায় এই দুটি সভ্য বাড়ল!
চন্দ্র। বড় খুসি হলেম। এঁরা কে?