করিবামাত্র মৃত্যুঞ্জয় রাগের স্বরে বলিয়া উঠিল, না মশায় আমি ক্রিশ্চান্ হতে পারব না, আমার বিয়ে করে কাজ নেই।
অক্ষয় কহিলেন, তা মশায়, আপনাকে কে পায়ে ধরাধরি কর্চে!
দারুকেশ্বর কহিল, আমি রাজি আছি মশায়!
অক্ষয় কহিলেন, রাজি থাকেন ত গির্জ্জেয় যান মশায়! আমার সাত পুরুষে ক্রিশ্চান্ করা ব্যব্সা নয়!
দারুকেশ্বর কহিল—ঐ যে কোন্ বিশ্বাসের কথা বল্লেন—
অক্ষয়। তিনি টেরেটির বাজারে থাকেন, তাঁর ঠিকানা লিখে দিচ্চি।
দারুকেশ্বর। আর বিবাহটা?
অক্ষয়। সেটা এ বংশে নয়।
দারুকেশ্বর। তাহলে এতক্ষণ পরিহাস করছিলেন মশায়? খাওয়াটাও কি—
অক্ষয়। সেটাও এ ঘরে নয়।
দারুকেশ্বর। অন্ততঃ হোটেলে?
অক্ষয়। সে কথা ভাল।— বলিয়া টাকার ব্যাগ হইতে গুটিকয়েক টাকা বাহির করিয়া দুটিকে বিদায় করিয়া দিলেন।
তখন নৃপর হাত ধরিয়া টানিয়া নীরবালা বসন্তকালের দম্কা হাওয়ার মত ঘরের মধ্যে আসিয়া প্রবেশ করিল। কহিল, মুখুজ্জে মশায়, দিদি ত দুটির কোনটিকেই বাদ দিতে চান্ না!
নৃপ তাহার কপোলে গুটি দুই তিন অঙ্গুলির আঘাত করিয়া কহিল, ফের মিথ্যে কথা বলচিস্?
অক্ষয়। ব্যস্ত হস্নে ভাই, সত্য মিথ্যের প্রভেদ আমি একটু একটু বুঝ্তে পারি।
নীরু। আচ্ছা মুখুজ্জে মশায়, এ দুটি কি রসিক দাদার রসিকতা, না আমাদের সেজ দিদিরই ফাঁড়া?