রসিক। এক ব্যক্তি ওঁকে ল্যাজে করে নিয়ে যাবেন।
পুর। আমি কিছু বুঝ্তে পারচিনি! শৈল, তুই চিরকুমার সভায় যাবি না কি!
শৈল। আমি যে সভ্য হব!
পুর। কি বলিস্ তার ঠিক নেই! মেয়ে মানুষ আবার সভ্য হবে কি!
শৈল। আজকাল মেয়েরাও যে সভ্য হয়ে উঠেছে। তাই আমি শাড়ি ছেড়ে চাপকান ধরব ঠিক করেছি।
পুর। বুঝেছি, ছদ্মবেশে সভ্য হ’তে যাচ্চিস্ বুঝি! চুলটাত কেটেইচিস্, ঐটেই বাকি ছিল। তোমাদের যা খুসি কর, আমি এর মধ্যে নেই।
অক্ষয়। না, না, তুমি এ দলে ভিড়ো না! আর যার খুসি পুরুষ, হোক, আমার অদৃষ্টে তুমি চিরদিন মেয়েই থেকো—নইলে ব্রীচ্ অফ্ কণ্ট্রাক্ট—সে বড় ভয়ানক মকদ্দমা!—বলিয়া সিন্ধুতে গান ধরিলেন—
চির-পুরাণো চাঁদ!
চির দিবস এমনি থেকো আমার এই সাধ!
পুরাণো হাসি পুরাণো সুধা, মিটায় মম পুরাণো ক্ষুধা,
নূতন কোন চকোর যেন পায় না পরসাদ!
পুরবালা রাগ করিয়া চলিয়া গেল। অক্ষয়-শৈলবালাকে আশ্বাস দিয়া কহিলেন—ভয় নেই! রাগটা হয়ে গেলেই মনটা পরিষ্কার হবে—একটু অনুতাপও হবে—সেইটেই সুযোগের সময়।
রসিক।
কোপো যত্র ভ্রুকুটি রচনা, নিগ্রহো যত্র মৌনং,
যত্রান্যোন্যস্মিতমনুনয়ং, যত্র দৃষ্টিঃ প্রসাদঃ,
শৈল। রসিক দাদা তুমি ত দিব্যি শ্লোক আউড়ে চলেচ—কোপ জিনিষটা কি, তা মুখুজ্জে মশায় টের পাবেন।