অক্ষয় ভৈরোঁতে গাহিয়া উঠিলেন—
পোড়া মনে শুধু পোড়া মুখখানি জাগে রে!
এত আছে লোক, তবু পোড়া চোখে
আর কেহ নাহি লাগে রে!
আচ্ছা, তাই হবে! পঙ্গপাল ক’টাকে শিখার কাছে তাড়িয়ে নিয়ে আস্ব। তাহলে চট্করে আমাকে একটা পান এনে দাও। তোমার স্বহস্তের রচনা!
শৈল। কেন দিদির হস্তের—
অক্ষয়। আরে দিদির হস্ত ত জোগাড় করেইচি, নইলে পাণিগ্রহণ কি জন্যে? এখন অন্য পদ্মহস্ত গুলির প্রতি দৃষ্টি দেবার অবকাশ পাওয়া গেছে।
শৈল। আচ্ছা গো মশায়! পদ্মহস্ত তোমার পানে এমনি চুন মাখিয়ে দেবে যে, পোড়ার মুখ আবার পুড়বে!
অক্ষয় গাহিলেন—
যারে মরণ দশায় ধরে
সে যে শতবার করে মরে।
পোড়া পতঙ্গ যত পোড়ে তত
আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে!
শৈল। মুখুজ্জে মশায় ও কাগজের গোলাটা কিসের?
অক্ষয়। তোমাদের সেই সভ্য হবার আবেদন পত্র এবং প্রবেশিকার দশটাকার নোট পকেটে ছিল, ধোবা বেটা কেচে এমনি পরিষ্কার করে দিয়েছে, একটা অক্ষরও দেখতে পাচ্চিনে। ও বেটা বোধ হয় স্ত্রীস্বাধীনতার ঘোরতর বিরোধী, —তাই তোমার ঐ পত্রটা একেবারে আগাগোড়া সংশোধন করে দিয়েছে।
শৈল। এই বুঝি!