চন্দ্র। ধর, পাঁচ বছর। পাঁচ বছরে আমরা প্রস্তুত হয়ে বেরতে পারব। যারা চিরজীবনের ব্রত গ্রহণ করবে, পাঁচ বছর তাদের পক্ষে কিছুই নয়। তা ছাড়া এই পাঁচ বছরেই আমাদের পরীক্ষা হয়ে যাবে―যাঁরা টিকে থাক্তে পারবেন তাঁদের সম্বন্ধে আর কোন সন্দেহ থাকবে না।
পূর্ণ। কিন্তু দেখুন, আমাদের সভাটা যে স্থানান্তর করা হচ্চে,―
চন্দ্র। না পূর্ণবাবু আজ আর কিছুতেই না, আমার অত্যন্ত জরুরী কাজ আছে। পূর্ণবাবু আমার কথাগুলো ভাল করে চিন্তা করে দেখো। আপাততঃ মনে হতে পারে অসাধ্য― কিন্তু তা নয়। দুঃসাধ্য বটে―তা ভাল কাজ মাত্রই দুঃসাধ্য। আমরা যদি পাঁচটি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ লোক পাই তা হলে আমরা যা কাজ করব তা চিরকালের জন্য ভারতবর্ষকে আচ্ছন্ন করে দেবে।
শ্রীশ। কিন্তু আপনি যে বলছিলেন গোরুর গাড়ীর চাকা প্রভৃতি ছোট ছোট জিনিষ―
চন্দ্র। ঠিক কথা, আমি তাকেও ছোট মনে করে উপেক্ষা করিনে― এবং বড় কাজকেও অসাধ্য জ্ঞান করে ভয় করিনে―
পূর্ণ। কিন্তু সভার অধিবেশন সম্বন্ধেও―
চন্দ্র। সে সব কথা কাল হবে পূর্ণবাবু! আজ তবে চল্লুম!
(চন্দ্রবাবুর দ্রুতবেগে প্রস্থান)
বিপিন। ভাই শ্রীশ, চুপচাপ যে! এক মাতালের মাৎলামী দেখে অন্য মাতালের নেশা ছুটে যায়। চন্দ্রবাবুর উৎসাহে তোমাকে সুদ্ধ দমিয়ে দিয়েছে।
শ্রীশ। না হে, অনেক ভাববার কথা আছে। উৎসাহ কি সব সময়ে কেবল বকাবকি করে? কখনো বা একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে থাকে, সেইটেই হল সাংঘাতিক অবস্থা।