পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెవె ষ্ঠাত্রী দেবী যশোরেশ্বরীর মন্দির সংস্কারে প্রবৃত্ত হন। তিনি তাহার পুরাতন মন্দির সংস্কার বা ভগ্ন করিয়া তাহাকে নুতন করিয়া নিৰ্ম্মাণ করেন । এতদ্দেশে প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, প্রতাপ নিবিড় অরণ্যমধ্যে যশোরেশ্বরীর সাক্ষাৎ পাইয়া প্রথমে তাহার মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন । কিন্তু দিগ্বিজয়-প্রকাশ প্রভৃতি প্রাচীন গ্রন্থ হইতে জানা যায় যে, বহু প্রাচীন কাল হইতে যশোরে যশোরেশ্বরীর মন্দির প্রতিষ্ঠিত ছিল। তন্ত্রাদিতে যশোরেশ্বরীর উল্লেখ আছে। দিগ্বিজয়-প্রকাশের মতে অনরি নামে একজন ব্রাহ্মণ বনমধ্যে দেবীর শতদ্বারযুক্ত মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । পরে গোকর্ণকুলসস্থত ধেমুকৰ্ণ রাজার ও লক্ষ্মণসেনের নামও যশোরেশ্বরীর মন্দিরের সহিত সংস্থষ্ট দেখা যায়। এই সকল কারণে বোধ হয় যে, প্রতাপাদিত্য প্রথমে যশোরেশ্বরীর আবিষ্কার করেন নাই। তবে বনমধ্যে অবস্থিত র্তাহার ভগ্ন মন্দিরের সংস্কার বা তাহাকে নুতন কলেবর দান করিয়া প্রতাপাদিত্য তাহার মহিমা প্রকাশ করিয়াছিলেন । * প্রতাপ যশোরেশ্বরীর অমুগৃহীত ছিলেন বলিয়া নানা প্রবাদ প্রচলিত আছে। প্রতাপ যেরূপ ক্ষমতাশালী হইয়া উঠিয়ছিলেন, তাহাতে লোকে যে তাহাকে দেবায়ুগ্ৰহীত পুরুষ মনে করিবে, ইহা আশ্চর্য্যের বিষয় নহে। তাহার নিষ্ঠুরতার বৃদ্ধি হইলে, যশোরেশ্বরী তহিকে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন বলিয়াও প্রবাদ প্রচলিত আছে। এই যশোরেশ্বরীকে মানসিংহ লইয়া গিয়া অম্বরে স্থাপন করিয়া ছিলেন বলিয়া যে কথা প্রচলিত আছে, তাহা এক্ষণে ভিত্তিহীন বলিয়া স্থিরীকৃত হইতেছে। + অম্বরের দেবীকে কেদার রায়ের প্রতিষ্ঠিত শিলা যশোরেশ্বরীর মন্দির নিৰ্ম্মাণ । 擊 মুল ১৫৪-৫৫ পৃঃ দেখ। r + ( ৯৮ ) টিল্পনী ও (খ ) পরিশিষ্ট দেখ।