পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 లిసి আজিম খাঁর সহিত সংঘর্ষে পরাজিত হওয়ায় প্রতাপ আপনাকে হীনবল বলিয়া বুঝিতে পারেন। সেইজন্ত তিনি যতদিন বলসঞ্চয় করিতে প্রতাপের বলসঞ্চয় । ন পারিয়াছিলেন, ততদিন পর্য্যন্ত বাদসাহের বিরুদ্ধে অভু্যথিত হন নাই। আজিম খার পর সাহাবাজ খ৷ কুন্থ ও তাহার পর রাজা মানসিংহ বাঙ্গলার সুবেদার হইয় আসেন। ইহাদের সহিত পাঠানদিগের ও কোন কোন ভূইয়াব যুদ্ধ সংঘটিত হইয়াছিল। প্রতাপ তথনও পর্য্যস্ত বলসঞ্চয় করিতেছিলেন। তিনি পাঠান ও ভূইয়াদিগের সহিত যুদ্ধে মোগলের অসীম বলের ও রণকৌশলের পরিচয় জানিয়া আপনাকে তাহাদের সমকক্ষ করিবার জন্ত বিপুল আয়োজন আরম্ভ করেন । তজ্জন্ত সাহাবাজ খা বা মানসিংহের প্রথম সুবেদারী সময়ে মোগল সৈন্তের বিরুদ্ধে তাহার অস্ত্ৰধারণের কোন পরিচয় পাওয়৷ যায় না। বিশেষতঃ তিনি মানসিংহকে উত্তমরূপেই জানিতেন। তজ্জন্ত তিনি তাহার সময়ে কোনরূপ উত্তেজনার ভাব প্রদর্শন করেন নাই । আপনার বলসঞ্চয়ের জন্ত প্রতাপ রাজ্যমধ্যে নানাস্থানে দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহাতে সৈন্ত রক্ষা করিতে প্রবৃত্ত হন। অদ্যপি ঈশ্বরীপুর, মুকুন্দপুর, মেীতলা, গড় প্রতাপনগর, গড় কমলপুর, বড়িশা বেহালার গড়, জগদ্দল, মাতলা প্রভৃতি স্থানে প্রতাপ-নিৰ্ম্মিত দুর্গের চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। • রাজধানীর নিকটে তিনি সৈন্তাবাস স্থাপন করিয়াছিলেন, “ তাহাকে অস্থাপি বারাকপুর কহিয়া থাকে । “এক বিস্তৃত প্রাস্তরে তঁহার সৈন্তগণের সৃদ্ধ শিক্ষা হইত, তাহার বর্তমান নাম কুশলী ক্ষেত্র। পটুগীজ সেনাপতিগণের অধীনে তাহার সৈন্তগণ কামান বন্দুক চালনা শিক্ষা করিতে আরম্ভ করে। তাহদের জন্ত গোলাগুলি নিৰ্ম্মাণের ব্যবস্থাও হইয়াছিল, অদ্যপি সেই সেই স্থান দমদম ও লোহাগড়ার মাঠ নামে তাহার পূৰ্ব্বপরিচয় প্রদান করিতেছে। এইরূপে স্থলযুদ্ধ শিক্ষার ব্যবস্থা করিয়া প্রতাপ জলযুদ্ধ