পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* > & > মহাশয় বসন্তরায় ও গোবিন্দরায়েয় হত্যার পর সাত পুত্রের বন্দী হওয়ার কথা উল্লেখ করিয়াছেন । গোবিন্দ ও চন্দ্র ব্যতীত সে সময়ে আমরা বসন্তরায়ের আর এক পুত্রের অবস্থিতির কথা জানিতে পারি। র্তাহার নাম রাঘব রায় এবং তিনিই কচুরায় নামে সুপ্রসিদ্ধ। রাঘব বসন্তের কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন, বসন্তরায়ের হত্যার সময় তিনি অল্পবয়স্ক ছিলেন। তিনি কচুবনে লুক্কায়িত হওয়ায় আপনার জীবন রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন ৷ ঘটককারিক ও অন্নদামঙ্গলের মতে রাণী তাহাকে কচুবনে লুকাইয়। রাখিয়াছিলেন ; ক্ষিতীশবংশাবলীর মতে কোন ধাত্রী তাহাকে কচুবনে য়ক্ষা করেন । কেহ কেহ এই ধাত্রীকে রেবতী নামে উল্লেখ করিয়া থাকেন । ফলতঃ রাঘব রায় এই হত্যার সময় কচুবনে লুক্কায়িত হইয়া যে কচুরায় আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, ইহা সৰ্ব্ববাদি সম্মত । বসন্তবায়ের ভ্রাতৃজামাতা রূপবস্থ কচুরায়কে লষ্টয়া ঈশা খাঁ লোহানার নিকট উপস্থিত হন । রামরাম বস্থ মহাশয় বলেন যে, রূপ বসুর নিকট হইতে সংবাদ পাইয়া ইশ থা বলবন্ত পোজা নামক আপনার সেনানীকে পাঠাইয়৷ বসন্তরায়ের পুত্রদের উদ্ধাৰ সাধন করিয়াছিলেন । যাহা হউক, রূপবস্থর সহিত কচুরায় যে ইশা খার নিকট অবস্থিতি করিয়াছিলেন, তাহতে সন্দেহ নাই । এই সময়ে ইশা খ সমগ্র উড়িষ্যায় একাধিপত্য করিতেন, এবং বসন্তরায়ের সহিত তাহার সৌহাৰ্দ্দ থাকায়, তিনি কচুরায়কে আশ্রয় প্রদান করিয়াছিলেন, এবং প্রতাপাদিত্যের নিকট হইতে র্তাহার পিতৃরাজ্য উদ্ধারের সাহায্যেরও আশাও দিয়াছিলেন। কিন্তু তিনি তাহাতে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। অল্পকাল পরে ১৫৯২ খৃঃ অন্ধে ঈশা খার অন্তর্ধান ঘটায়, কচুরায় ”বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া অবশেষে আগরায় বাদসহ দরবারে উপস্থিত হন। আমরা এই খানে কচুরায়ের বয়ঃক্রম সম্বন্ধে একটু আলেচনা করিবার ইচ্ছা করি। পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করা হইয়াছে যে, ঘটককারিকায় লিখিত আছে তিনি o