পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ এবং প্রতাপাদিত্য যেরূপ পরাক্রমশালী হইয়া উঠিয়াছিলেন, তাহাতে তিনি ইশা খাঁর নিকট হইতে হিজলী বিচ্ছিন্ন করিয়া লইতেও পারেন। কিন্তু সে সময়ে মানসিংহ বঙ্গলার সুবেদার ও ইশা খার সহিত র্তাহার সন্ধি থাকায় তিনি যে প্রতাপাদিত্যকে নিবিববাদে, হিজলী অধিকার করিতে দিয়াছিলেন, তাহ অনুমান করা যায় না। এইজন্ত প্রতাপাদিত্য কর্তৃক হিজলী অধিকারের ঐতিহাসিকত্ব সম্বন্ধে আমরা সান্দহান হইয়৷ থাকি। তবে ইশা খার সহিত বিবাদ করিয়া তিনি আপনার রাজ্যের নিকটস্থ হিজলীকে কিছু দিন নিজ অধিকারে রাখিতেও পারেন। ফলতঃ সে বিষয়ের বিশেষ কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না । রাজা বসন্তরায়ের হত্যার পর প্রতাপাদিত্য সমস্ত যশোর রাজ্যের একাধীশ্বর হইয়া উঠেন। পূৰ্ব্বে মধুমতী, পশ্চিমে ভাগীরথী এবং দক্ষিণে সমুদ্র, এই বিস্তৃত যশোর রাজ্য তাহার সম্পূর্ণ কুরায়ত্ত হয় । সুশিক্ষিত সৈন্ত, অপরিসীম বল ও বিস্তৃত রাজ্যের অধীশ্বর হইয় তাহার পরাক্রম দিন দিন বাদ্ধত হইতে থাকে। রামরাম বস্ন মহাশয় লিখিয়াছেন যে, তিনি কেদাররায় প্রভৃতি অন্তান্ত ভু ইয়াদিগকে পরাস্ত করিয়া তাহদের রাজ্য আধকার করিয়াছিলেন, এবং রাজমহাল ও পাটনা অধিকার করিয়া সমগ্র বহার আপনার করায়ত্ত করিয়াছিলেন। কিন্তু ইহার কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ নাই । যে সময়ে প্রতাপাদিত বসন্তরায়কে নিহত করি। যশোর রাজ্যের একাধীশ্বর হন, সে সময়ে মানসিংহ বঙ্গল, বিহারের সুবেদাররূপে অবস্থিতি করিতেছিলেন ; সুতরাং প্রতাপের রাজমহল ও পাটনা অধিকার যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তাহাতে সন্দেহ নাই। কেদাররায় প্রভৃতির রাত্ত । অধিকারেরও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। যে সময়ে জেমুই পাদরীগণ এ দৈশে আগমন করেন, সে সময়ে তাহারা প্রতাপ ও কেদার প্রতাপের একচ্ছত্রত্ব ।