পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৮ হইলে, মানসিংহ তাহাকে বহুসৈন্তসহ আক্রমণ করেন। পরে তিনি পরাজিত ও অবশেবে বন্দী হন। ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতের মতে মানসিংহ শেষ যুদ্ধে ভবানন্দের পরামর্শ লইয়াছিলেন। ঘটককারিকার মতে, কচুরায়ই র্তাহাকে পরামর্শ প্রদান করেন। ফলত ध्रुझेखनझे पृथन যুদ্ধকালে উপস্থিত ছিলেন, তখন উভয়েরই সহিত মানসিংহের পরামর্শ হইয়া থাকিবে। কচুরায় কেবল পরামর্শ দিয়াই ক্ষান্ত হন নাই, তিনি এই যুদ্ধে আপনার অপরিসীম পরাক্রমও প্রদর্শন করিয়াছিলেন ৷ ঘটককারিকার মতে প্রতাপ মানসিংহকে নিপাতিত করিবার চেষ্টা করিলে কচুরায় তাহার দক্ষিণ বাহু ছেদন করিয়া ফেলেন । সেইজন্ত প্রতাপ মূৰ্ছিত হইয়া পতিত হওয়ায় বন্দী হইয়াছিলেন। উহা সত্য কি মিথ্য তাহা আমরা বলিতে পারি না। তবে উক্তযুদ্ধে কচুরায় যে বীরত্ব প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। মানসিংহ প্রতাপকে বন্দী করিয়া লৌহপিঞ্জরে আবদ্ধ করেন। পরে তাহাকে বাদাহের নিকট লইয়া ঙিয়ার জন্ত সসৈন্তে অগ্রসর হন। পথিমধ্যে বারাণসীধামে প্রতাপের মৃত্যু হয়। এইরূপে সেই বাঙ্গালীর গৌরবস্থল, পরাক্রমে অদ্বিতীয়, সাহসে দুৰ্জ্জয় প্রতাপাদিত্যের অবসান হয়। তিনি বাঙ্গালী হইয়া যেরূপ বাহুবলের পরিচয় দিয়াছেন, তাহ বাঙ্গলার ইতিহাসে বিরল বলিয়াই বোধ হয়। র্তাহার হয় তাহার শিক্ষিত সৈন্ত ও সেনাপতিবৃন্দও অসীম বীরত্বের পরিচয় প্রদান করিয়াছিলেন। স্বৰ্য্যকৃ্যন্ত প্রভৃতি বীরের ষ্ঠায়ই জীবন বিসর্জন দিয়াছিলেন। আর দিয়াছিলেন, তাহার উপযুক্ত পুত্র উদয়াদিত্য । অষ্টাদশবর্ষ বয়সে তিনি দ্বিতীয় অভিমন্ত্র্যর স্তায় মোগলবাহিনী বেষ্টিত হইয়া আপনার বাহুবলের পরিচয় প্রকাশ করিতে করিতে মুক্তি আছেন। তাহার পদে কোররায় লিখিত আছে। চৌধুরী মহাশয়ের পূর্ব পুরুষের পূর্ববঙ্গবাসী ছিলেন । ( বহুমতী ২রা তাঙ্গ, ১৩১৩)।