পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)ఆసి দণর ক্রোড়ে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন। ফলতঃ এই যুদ্ধ বাঙ্গালীর aাতীয় ইতিহাসের এক অভাবনীয় ঘটনা । আমরা পূৰ্ব্বে উল্লেখ করিয়াছি যে, কচুরায় এই যুদ্ধে অত্যন্ত বীরত্ব প্রদর্শন করিয়াছিলেন। ঘটককারিকায় লিখিত আছে যে, তিনিই প্রতাপের বাহু ছিন্ন করেন, এবং প্রতাপের বন্দী হওয়ার পর, তিনিই তাহর সমস্ত সেনাপতিগণকে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করিয়াছিলেন। উদয়দিত্য প্রভৃতি র্তহারই সহিত যুদ্ধে নিহত হন বলিয়াই উক্ত হইয়া থাকে। ইহা কতদূর সত্য তাহা আমরা বলিতে পার না। তবে মানসিংহের অনুরোধে তিনি পরে যে, “যশোরজিৎ’ উপাধি পাইয়াছিলেন তাইতে সন্দেহ নাই। * যশোরজিৎ এই কথা হইতে সুস্পষ্ট কপে বুঝা যাইতেছে যে, তিনি যুদ্ধেই বীরত্ব প্রকাশ করিয়াছিলেন, এবং তাহারই সাহায্যে মানসিংহ যশোর জয় করিয়াছিলেন। নতুবা তাহার যশোরজিৎ এইরূপ উপাধি প্রাপ্তির কোনই সম্ভাবনা থাকিত না । কচুরায় উক্ত উপাধির সহিত যশোর রাজ্যে* জামদারীও প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু সমগ্র যশোর রাজ্য পাইয়াছিলেন কিনা তাহ আমরা বলিতে পারি না। তিনি কিন্তু অধিক দিন রাজত্ব ভোগ করতে পারেন নাই । তঁহাদের বংশে এইরূপ দুর্ঘটনা ঘটায়, তাহার মনে বৈরাগ্যের উদয় হয়। র্তাহার পর তাহার ভ্রাতা কচুরায় যশোরজিৎ । যশোরজিৎ উপাধির কথা অনেক গ্রন্থে আছে,— “শ্রীত্ব চ জবনাধিপঃ পূৰ্ব্বপরিচিতং প্রতাপাদিত্যদায়াদং কচুরায়নামানং যশোহরজিতিতি নামরূপপ্রসাদঞ্চ দলে ।” (ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতং ) “কচুরায় পাইল যশোরজিৎ নাম । সেই রাজ্যে রাজা হৈল পূর্ণ মনস্কাম ॥” অন্নদামঙ্গল । মরাম বহুও "খেতাব যশোহরজীতের” কথাও বলিয়াছেন। মুল ৬৪ পৃঃ ।