পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X # 8 বল দান করিবে । র্তাহার প্রতিমা চিরদিনই বাঙ্গালীর অন্ধকারময় হৃদয়কে উজ্জ্বল করিয়া রাখিবে। আর সঙ্গে সঙ্গে ভারতচন্দ্রের সেই অমরণীতি বাঙ্গলার পল্লীতে পল্লীতে ধ্বনিত হইবে। তিন শত বৎসর হইল প্রতাপাদিত্য এ জগৎ হইতে চির বিদায় লইয়াছেন, কিন্তু তাহার কীৰ্ত্তিচিহ্ন অদ্যপি নানাস্থানে বিক্ষিপ্ত থাকিয়া প্রতাপের কল্পচিহ্ন । কথা সকলের স্মৃতিপটে জাগরূক করিয়৷ $2., তেছে । যিনি যশোরের দ্যায় বিশাল রাজ্যস্থাপন করিয়াছিলেন, ধূমঘাটের হায় পঞ্চক্রোশব্যাপী রাজধানীর প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, এবং দুৰ্দ্ধৰ্ষ মোগল সৈন্তের আক্রমণ প্রতিরোধের জন্ত নানাস্থানে দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন, তাহার কীৰ্ত্তিচিহ্ন যে অদ্যাপি তাহার সাক্ষ্য প্রদান করিবে, ইহাতে সংশয় কি ! কিন্তু দুঃখের বিষয়, তাহার সমস্ত বিনষ্ট হইয়া গিয়ছে, এবং সে সমস্ত স্থান সুন্দরবনের নিবিড় অরণ্যে সমাচ্ছাদিত হইয়া রহিয়াছে। স্থানে স্থানে ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত দুই একটি ভগ্নাবশেষ সেই বিস্তীর্ণ রাজ্য বা রাজধানীর চিহ্নস্বরূপে লোকলোচনের গোচরীভূত হয়। নিজ রাজ্য ব্যতীত প্রতাপ আরও কোন কোন স্থানে আপনার কীৰ্ত্তি বিস্তার করিয়াছিলেন বলিয়। কথিত হইয়া থাকে। তন্মধ্যে কাশীধামের চৌষট্টিযোগিনীর ঘাটই প্রধান। উহা প্রতাপের স্থাপিত বলিয়া উক্ত হয়। আমরা নিম্নে প্রতাপের কীৰ্ত্তিচিহ্নের তঞ্জাবশেষের কিছু কিছু পরিচয় প্রদান করিতেছি। প্রথমে তাহার রাজধানী যশোর বা ঈশ্বরীপুরে যে সমস্ত চিহ্ন আছে তাহাদের উল্লেখ করা যাইতেছে। ঈশ্বরীপুরে অদ্যাপি যশোরেশ্বরীর মন্দির বিদ্যমান আছে। কিন্তু তাহার এই বর্তমান মন্দির প্রতাপাদিত্যের সময়েই নিৰ্ম্মিত কি পরে গঠিত তাহ বুঝিবার উপায় নাই। তবে গ্রতাপের মন্দির সংস্কৃত হইয়া ঈশ্বরীপুর।