পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৯ জাহাজঘাটার পরপার এবং যমুনার ও তাহার একটি শাখার মধ্যস্থলে রায়পুর নামক গ্রামে লোহাগড়ার মাঠ নামে একটি প্রান্তর আছে । এই লোহাগড়ার মাঠে প্রতাপাদিত্যের অস্ত্রাদি ও লৌহের অদ্যান্ত দ্রব্যাদি নিৰ্ম্মিত হইত বলিয়। কথিত হইয থাকে, এবং সেই সমস্ত অস্ত্র ও দ্রব্যাদি তথা হইতে ভিন্ন ভিন্ন দুর্গে নীত হইত। লোহাগড়া মাঠ কেবল অস্ত্রাদিনিৰ্ম্মাণেব জঙ্গই নির্দিষ্ট হইয়াছিল। বাযপুর, লোহাগড়ার भार्छ । রাযপুরের অব্যবহিত উত্তরে যমুনার পশ্চিম তীরে ধলী নামক স্থান অবস্থিত। এই স্থানে প্রতাপাদিত্যেব পোত নিৰ্ম্মিত ও সংস্কৃত হইত। তাহার গুদি নামক স্থানে শতাধিক জাহাজ রক্ষিত হইতে পারিত। গুদির ভগ্নাবশেষ অদ্যাপি দষ্ট হইয়া থাকে। যমুনার গর্ভে মৃত্তিকা ও ইষ্টকনিৰ্ম্মিত একটি বাধ বা জঙ্গল দৃষ্ট হয়, তাহাকে দিয়া বা দ্বীপা কহে । উহা একটি কৃত্রিম উপদ্বীপের দ্যায় অবস্থিত । তাহাব উপরে জাহাজদি নিৰ্ম্মিত ও সংস্কৃত হইত। এই সমস্ত জাহাজ পরে নান স্থানে প্রেরিত হইত। সাগর দ্বীপে ও চক শ্ৰতেও জাহাজদি নিৰ্ম্মিত ও রক্ষিত হইত বলিয়া শুনা যায। পটুগীজগণের তত্ত্বাবধানে এই সমস্ত নিৰ্ম্মিত হইত। দুধলা পোতাগীর । ভূধলীর উত্তরে গড় মুকুন্দপুর। এই স্থানে একটি দুর্গ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। রাজধানীর উত্তর দিকে এই দুর্গ অবস্থিত ছিল । উত্তর দিক হইতে শত্রপক্ষ রাজধানী অভিমুখে অগ্রসর হইলে, প্রথমে এই স্থানের সৈন্তগণ তাহাদিগকে বাধা প্রদান করিত। কালিন্দী ও যমুনার মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে অবিস্থিতি করিয়া ই। অত্যন্ত দুর্ভেদ্যরূপেই প্রতীয়মান হইত। অদ্যপি তাহার পরিখাদির চিঙ্গ দৃষ্ট হইয়া থাকে।" গড় মুকুন্দপুর।