পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

莎*莎 ক্রমশালী ছিলেন, সেইরূপ তিনি একজন ভক্ত বলিয়াও উল্লিখিত হইয়। থাকেন। তিনি সুবিখ্যাত শ্রীনিবাস আচার্য্যের শিষ্যত্ব স্বীকার করিয়াছিলেন। শ্ৰীনিবাস বৃন্দাবন হইতে প্রত্যাগমনের সময় বিষ্ণুপুরে উপস্থিত হইলে হাম্বীর প্রথমতঃ র্তাহার ভক্তিগ্রন্থ সকল অপহরণ করেন। পরে শ্ৰীনিবাসের পরিচয় পাইয় তাহার শিষ্যত্ব স্বীকার করেন। লক্ষ্মণ মাণিক্য ভুলুয়ার অধীশ্বর ছিলেন। তাহার পুৰ্ব্ব পুরুষ বিশ্বম্ভর শূর মিথিলা হইতে চন্দ্রনাথ গমনকালে ভুলুয়ায় অবস্থান করিতে বাধ্য হন। তদবধি ভূলুল্লায় তাহদের শাসনাধীনে আইসে । বিশ্বস্তরকে কেহ কেহ আদিশূরবংশীয় বলিয়াও উল্লেখ করিয়া থাকেন। ইহার ক্ষত্রিয় হইলেও বঙ্গজকায়স্থসমাজে অনুপ্রবিষ্ট হন। ষোড়শ শ শব্দীর শেষভাগে লক্ষ্মণ মাণিক্য ভুলুয়ার অধিপতি হইয়াছিলেন। ভুলুয়ার রাজগণ ত্রিপুরার সামন্ত রাজা ছিলেন। তাহার ত্রিপুরেশ্বরদিগকে রাজটক প্রদান করিতেন। কেহ কেহ তাহাদিগকে বারভু ইয়ার অন্তর্গত বলির বিবেচনা করিয়া থাকেন। কিন্তু ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে যাহারা বারভূইয়া ছিলেন, লক্ষ্মণ মাণিক্য যে তাহাদের অন্তভূত নহেন, এ কথা আমরা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি। লক্ষ্মণ মাণিক্য • ত্রিপুরেশ্বর অমরমাণিক্যের অধীনতা ছেদন করিয়াছিলেন বলিয়া বোধ হয় । কিন্তু অমরমাণিক্য তঁহাকে দমন করিবার প্রয়াস পাইয়াছিলেন কিনা জানা যায় না। অমরমাণিক্য লক্ষ্মণের পুত্র বলরামপুরের সময় জুলুয়া আক্রমণ করেন বলিয়া জানা যায়। বলরামও অমরমাণিক্যের অধীনতা স্বীকার করেন নাই। ভুলুয়ার রাজগণ ত্রিপুরায় সামন্ত রাজা হইলেও মোগলের জুলুয়াকে সরকার সোনারগায়ের অন্তভুক্ত করিয়া তাহার নির্দিষ্ট জমা বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন। আইন আকবরীতে তাহাই উক্ত হইয় থাকে। কিন্তু আকবরের রাজত্বকালে ভুলুর প্রকৃত লক্ষ্মণ মাণিক্য ।