পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉br特 ছিল । এই মগ ফিরিঙ্গীর উৎপাতে বঙ্গলার দক্ষিণাংশে সুন্দরবনের অনেক ভূভাগ নিবিড় অরণ্যে পরিণত হয় । এই সমস্ত দস্থ্যগণের মধ্যে গঞ্জলেস ফিরিঙ্গাই প্রধান । এই স্কৃণিত উপায় অবলম্বনের জন্ত গঞ্জলেস ফিরিঙ্গী বঙ্গবাসীর নিকট ঘৃণা ও ভীতির প্রতিমুক্তি হইয়। বহিয়াছে। ভূইয়াগণের অবসানের পর তাহার প্রাধান্ত পূৰ্ব্ববঙ্গে বিস্তৃত হইয়াছিল। আমরা নিয়ে তাহার আয়ুপূৰ্ব্বিক বিবরণ প্রদান করিতেছি। - পটুগালের রাজধানী লিসবন নগবের অনতিদূরে সেণ্ট আণ্টনি ডেল তোজাল নামক একখানি অপরিচিত গ্রামে সেবষ্টিমান গঞ্জলেস টাইবাও জন্ম গ্ৰহণ করে। তাহার বংশপরিচয় আজিও ঐতিহাসিকগণের নিকট অপরিজ্ঞাত রহিয়াছে । ভাগ্যলক্ষ্মীর কল্যাণলাভকামনায় গঞ্জলেস ১৬০৬ খৃষ্টাব্দে পটুগাল হইতে ভারতবর্ষাভিমুখে আগমন করে ও অবশেষে কামঘো বঙ্গভূমিতে আসিয়া উপনীত হয়। গঞ্জলেস প্রথমে সৈনিকদলে প্রবিষ্ট হইয়াছিল। কিন্তু তাহার অর্থম্পুহা বলবতী হওয়ায়, সে ব্যবসায়-বাণিজ্যে মনোনিবেশ করে। সেই সময়ে বঙ্গদেশ লবণের ব্যবসায়ে সুপ্রসিদ্ধ ছিল । সনদ্বীপ উক্ত ব্যবসায়ের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়। প্রত্যহ বহুসংখাক জাহাজ লবণে বোঝাই হইয়৷ তথা হইতে নানা দেশে চলিয়া যাইত । বাঙ্গলা ও ভরতের ভিন্ন ভিন্ন বন্দরেও ঐ সমস্ত লবণের জাহাজ গতায়াত করিত। দেশীয় ও বিদেশীয় সকল প্রকার ব্যবসায়ী ও বণিক লবণের ব্যবসায়ে লিপ্ত ইষ্টয়া ধনেপোর্জনের পথ সুগম করিয়া তুলিত। অনেক পৰ্টুগীজ এই ব্যবসায়ে আপনাদের জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিত। গঞ্জলেসও তাহদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিয়া উক্ত ব্যবসায়ে প্রবৃত্ত হয়। লবণের ব্যবসায়ে কিঞ্চিৎ অর্থ সঞ্চয় করিয়া সে একথানি জেলিয়া বা ক্ষুদ্র জাহাজ ব্রুয়. করে । পরে তাহাতে লৰণ বোঝাই দিয়া চট্টগ্রামের ডায়েঙ্গ বন্দরে উপস্থিত গঞ্জলেস ফিরিঙ্গী ।