পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ぶ& ইহার অল্পকাল পরে অনুপরামের মৃত্যু হয়। অনেকে সন্দেহ করিয়াছিল যে, বিষপ্রয়োগে তাহার মৃত্যু ঘটিয়াছিল, এবং গঞ্জলেসকেই লোকে সন্দেহ করে। অনুপরামের মৃত্যুর পরই গঞ্জলেস অনুপরামের স্ত্রী পুত্রের প্রতি কোনরূপ অনুগ্রহ প্রদর্শন না করিয়া তাহার ধনসম্পত্তি ও হস্তী প্রভৃতি অধিকার করিয়া লয়। ইহাতে লোকে তাহার নামে দুনাম রটনা করিতে আরম্ভ করে। সেই সমস্ত নিন্দাবাদ দূর করিবার জন্য গঞ্জলেস অস্তুপরামের বিধবার সহিত স্বীয় ভ্ৰাত আণ্টনি টাইবাওএর বিবাহের চেষ্টা করে। আণ্টান তাহার রণতরীসমূহের অধ্যক্ষ ছিল । কিন্তু অনুপরামের বিধবাপত্নী খৃষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইতে অসম্মত হওয়ায় গঞ্জলেস সে বিষয়ে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারে নাই। ইহার পর গঞ্জলেস পুনর্বার আরাকানরাজের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়। তাহাব ভ্রাতা আণ্টনি ৫ খানি জাহাজ লইয়া রাজার একশত থানি জাহাজ অধিকার করিয়াছিল । এই ব্যাপারে আরাকানরাজ বিচলিত হইয় গঞ্জলেসের সহিত সন্ধিস্থাপন করিয়া অনুপরামের স্ত্রীপুত্রের উদ্ধার সাধন করেন। অনুপবামেব বিধবা পত্নীর সহিত চট্টগ্রামের শাসনকৰ্ত্তার বিবাহ হয়। এই সময়ে ১৬১০ খৃঃ অব্দে মোগলের ভুলুয়া অধিকারের জন্ত চেষ্টা করিয়ছিল। ভুলুয়ার রাজ লক্ষ্মণ মাণিক্য বীরত্বে অদ্বিতীয় ছিলেন। বাকলারাজ রামচন্দ্র কত্ত্বক তিনি বন্দী ও হত হইলে তাহার পুত্র বলরাম শূর ভুলুয়ার রাজাসনে উপবিষ্ট হন। ভুলুয়ারাজগণ ত্রিপুরার রাজগণের সামন্ত রাজা ছিলেন। বলরাম তদানীন্তন ত্রিপুরেশ্বর অমরমাণিক্যের বহুত স্বীকার না করায়, তিনি ভুলুয়া আক্রমণ করিয়া বলরামের নিকট হইতে কর গ্রহণ করেন । এই সময়ে মোগলের ভুলুয়া অধিকারের জন্ত সচেষ্ট হয়। ওদিকে আরাকানরাজ তাহ নিজ গঞ্জলেসের সহিত মগ রাজের সন্ধি ও ভুলুয়া আক্রমণের বন্দোবস্ত ।