পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ) প্রবল ক্ষমতা দেখিয়া স্বশ্বদর্শী আকবর বাদসাহের আদেশে তাহার সুচতুর কৰ্ম্মচারী রাজা তোড়রমল্ল বাঙ্গলার এই সৰ্ব্বনাশ সাধন করিয়াছিলেন। প্রকৃত প্রস্তাবে রাজা তোড়রমল্ল ভু ইয়া প্রথার সৰ্ব্বনাশ করেন । অন্যান্য সুবেদারগণ কেবল দুই চারি জন ভুইয়ার স্বাধীনতা নষ্ট করিয়াছিলেন মাত্র। রাজা তোড়রমল্লের পর খাঁ আজিম, পরে সাহাবাজ থা কুস্থ, অবশেষে রাজা মানসিংহ বাঙ্গলার সুবেদার হইয় আসেন। মানসিংহের পূৰ্ব্বে যাহারা সুবেদার নিযুক্ত হইয়া আসিয়াছিলেন, তাহার কেহই বাঙ্গলায় শাস্তি স্থাপন করিয়া যাইতে পারেন নাই। কিন্তু মানসিংহ সমস্ত বিদ্রোহ দমন করিয়া বাঙ্গলায় শান্তি স্থাপন করিয়াছিলেন ; তথাপি বাঙ্গলার শেষ বিদ্রোহ ইসলাম খাঁর সময়ে নিৰ্ব্বাপিত হয়। - বঙ্গরাজ্য মোগল সাম্রাজ্যভুক্ত হইল বটে, কিন্তু তাহা অনেক দিন পর্য্যন্ত মোগলের রাজ্য বলিয়া নির্দিষ্ট হইতে পারে নাই । আফগানরাজের মস্তক দেহ হইতে বিচ্ছিন্ন হইলেও আফগান সর্দারগণের দেহে মস্তক থাকিতে, তাহারা সহজে মোগলের বশুত স্বীকার করিতে চাহে নাই। উড়িষ্যায় সাধারণতঃ তাহারা অবস্থিতি করিয়া ক্রমে বলসঞ্চয় করিতে আরম্ভ করে । আবার ঘোড়াঘাট প্রদেশেও তাহারা স্বাধীনতা অবলম্বনের প্রয়াস পাইতে ক্ৰটি করে নাই। এই সময়ে কতকগুলি বিদ্রোহী মোগল কৰ্ম্মচারীও আফগানদিগের সহিত যোগদান করিয়াছিল। তাহদের মধ্যে মাগুম খাঁ কাবুলী প্রভৃতি প্রধান। আজিম খরি শাসন সময়ে উড়িষ্যার পাঠানগণ সুপ্রসিদ্ধ কতলু খার অধীনে মোগল সুবেদারের বিরুদ্ধে অভু্যথিত হইলে, তিনি র্তাহার সহিত সন্ধিবন্ধনে ইচ্ছুক ছিলেন, কিন্তু কতলু থার কৰ্ম্মচারিগণের ঔদ্ধত্যে অবশেষে র্তাহাকেই অরণ্যমধ্যে আশ্রয় লইতে হইয়াছিল। সাহাবাজ খাঁ ঘোড়াঘাটের মোগল-বিদ্রোহিগণের ও উত্তর ও পূৰ্ব্ববঙ্গের আফগানদিগের দমনে বিদ্রোহী পাঠানগণ ।