পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V9) সিয়াং সমতট হইতে তাম্রলিপ্তিতে কোন পথে গিয়াছিলেন জানা যায় না। সম্ভবতঃ তিনি স্থলপথেই গিয়াছিলেন। কারণ, তিনি কেবল সিংহল যাত্রাকালেই সমুদ্রপথে গমনের উল্লেখ করিয়াছেন। সুতরাং সমতট হইতে স্থলপথে তাম্রলিপ্তিতে আসিতে হইলে, সুন্দরবনস্থ তৎকালিক পথ যে নিতান্ত দুর্গম ছিল না, তাহ হিউয়েনসিয়াংএর বর্ণনা হইতে অনুমান করিতে হইবে । কিন্তু ইহার মধ্যে যে তৎকালে কোন প্রসিদ্ধ নগর বা বন্দর ছিল না, তাহাও বুঝা যায় ; থাকিলে হিউয়েনসিয়াং নিশ্চয়ই তথায় গমন করিতেন । ফলতঃ সে সময়েও সুন্দরবন একেবারে দুর্গম ছিল না বা তথায় কোন প্রসিদ্ধ নগরবন্দরাদিও বিদ্যমান থাকার অনুমান হয় না । ইহার পর বঙ্গভূমি সেনরাজগণেব অধীনে আসিলে সুন্দরবন পৰ্য্যন্ত র্তাহীদের অধিকার বিস্তৃত হয় । অদ্যপি পূৰ্ব্ববঙ্গে সেনরাজগণের অগণ্য কীৰ্ত্তি বিরাজিত রহিয়াছে । দিগ্বিজয়প্রকাশে লিখিত আছে যে, লক্ষ্মণসেনদেব যশোরেশ্বরীর নিকট এক শিবমন্দরের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। মুন্দরবনের অন্তর্গত কোন এক গ্রাম হইতে একথানি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহাতে লিখিত আছে যে, লক্ষ্মণসেনদেব থাড়ীমওলমধ্যে শ্ৰীকৃষ্ণধর দেবশৰ্ম্ম নামক জনৈক ব্ৰাহ্মণকে ভূমি দান করিয়াছিলেন। সুন্দরবনের মধ্যে উক্ত সনন্দ প্রাপ্ত হওয়া গেলে, তাহার নিকটে কোন স্থানে যে সেনবংশের প্রদত্ত ভূমি ছিল, এরূপ অকুমান করা নিতান্ত অসঙ্গত নহে। ফলতঃ সেনবংশের রাজত্বকালে সুন্দরবনের কোন কোন অংশ যে লোকজনের আবাসভূমি হইয়া উঠিয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। সেনবংশের রাজত্বকালে বারাণসী হইতে गश्च পর্যন্ত বিশাল ভূখণ্ডে তাহদের বিজয় পতাকা উড্ডীন হয়। সুতরাং সুন্দরবনও তাহদের অধিকারভুক্ত হইয়াছিল তবে আমরা পূৰ্ব্বাপর যাহা বলিয়া আসিতেছি, সেনবংশের রাজত্বকালেও তাঁহাই ছিল বলিয়া

  • Vo - -

সেনবংশের সময় |