পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* > ·AL থাকে। থ! জাহান আলি বা থাঞ্জালি প্রথমেই সুন্দরবনের নিবিড় অরণ্য ছেদন করিয়া তাহাকে বৃহৎ জনপদে পরিণত করিয়াছিলেন । কথিত আছে, তিনি ৬০ হাজার লোক লইয়া অরণ্য পরিষ্কার ও পুষ্করিণী প্রভৃতি খনন করাইয়াছিলেন । চট্টগ্রামের পাহাড় হইতে তিনি প্রস্তর আনাইয়া অট্টালিকা মসজীদাদি নিৰ্ম্মাণ করান। খাঞ্জালি তিন শত ষাটটি পুষ্করিণী খনন ও তিনশত ষাটটি মসজীদ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন বলিয়া প্রবাদ প্রচলিত আছে । তাহার ও তাহার অনুচরগণের অনেক কীৰ্ত্তি অদ্যাপি বাগেরহাটের চতুঃপাশ্বে দৃষ্ট হইয়া থাকে। এই সমস্ত কীৰ্ত্তির মধ্যে মুদৃঢ় স্তম্ভযুক্ত বিস্তৃত দালানসমন্বিত ষাটগম্বুজ মসজীদ, তথা হইতে ভৈরবন পর্য্যস্ত ইষ্টকনিৰ্ম্মিত পথ, থাঞ্জালির সমাধি ও তৎসংলগ্ন পুষ্করিণী ও তাহার দেওয়ান মহম্মদ তাহির বা বিখ্যাত পীর আলির সমাধি প্রভৃতি প্রধান । খাজাহান আল ১৪৫৯ খৃষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে সমাহিত হইয়াছিলেন । এই সময় সুন্দরবন লোকজনের গতায়াতের পক্ষে সুগম হইয় উঠে। যে সময়ে সুন্দরবনের মধ্যভাগে থাঞ্জালির প্রতিষ্ঠিত গ্রাম নগরাদি, মসঙ্গীদ, অট্টালিক, পুষ্করিণী বহুসংখ্যক নরনারীকে আকর্ষণ করিতেছিল, সে সময় সুন্দরবনের পশ্চিমভাগে পতিতপাবনী গঙ্গা - শতমুখে প্রবাহিত হইয়া সাগরসলিলে আত্মবিসর্জন করিতেছিলেন । র্তাহার পবিত্রতীরে অনেক গ্রাম, নগর তীর্থাদি সুন্দরবন মধ্যে বিরাত্রিত ছিল । চৈতন্যভাগবতে লিখিত আছে যে, মহাপ্রভু চৈতন্তদেব ভাগীরথীর কূলে কুলে সুন্দরবনে প্রবেশ করিয়া তাহার তাৎকালিক অন্যতম"প্রধান তীর্থ ছত্রভোগে উপস্থিত হইয়া অম্বুলিঙ্গ নামে শিব দর্শন করিরছিলেন। এই ছত্রভোগ বর্তমান ডায়মণ্ডহারবর উপবিভাগ সুন্দরবনের পশ্চিমাংশ ।

  • “এই মত প্ৰভু জাহ্নবীর কুলে কুলে ।

• জাইলেন ছত্রভোগে মহা কুতুহলে ॥