পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Cr○ বলিয়া থাকেন যে, বিক্রমাদিত্য দায়ুদকে সৰ্ব্বদা পরামর্শদানে উত্তেজিত করিতেন। যাহাহউক, তাহারা দায়ুদের প্রিয়পাত্র হওয়ায় তাহার নিকট হইতে যে জায়গীর প্রার্থনা করিয়াছিলেন তাহাতে সন্দেহ নাই। তাহারা অনুসন্ধানে অবগত হন যে, সমুদ্রের নিকট সুন্দরবনের মধ্যে যশোর * প্রভৃতি স্থান চাদখা মসনদ আলি নামে এক জন সন্ত্রাস্ত ব্যক্তির জায়গীর ছিল । তিনি নিঃসস্তান প্রাণত্যাগ করায়, উক্ত জায়গীর অস্বামিক অবস্থায় অবস্থিতি করিতেছে। দাযুদের নিকট তাহা জ্ঞাপন করিয়া তাহার। উক্ত স্থানের জায়গীর লাভ করেন। উক্ত জায়গীরের মধ্যে যশোর নামে যে প্রাচীন পীঠস্থানে দেবী যশোরেশ্বরীর মন্দির অবস্থিত ছিল। র্তাহারা তথায় আপনাদিগের বাসস্থান স্থাপন করিতে ইচ্ছুক হন। কতদিন হইতে যশোরের অস্তিত্ব ছিল স্থির করিয়া বলা যায় না । দিগ্বিজয়প্রকাশে লিখিত আছে যে, এখানে মহাদেবের মস্তক হইতে সতাঁদেবীর বাহু ও পদ পতিত হয়। সেইজন্ত এইস্থান পীঠস্থান হয় ও ইহার অধিষ্ঠাত্রী দেবী যশোরেশ্বরী নামে খ্যাত হন। অনরি নামক একজন ব্রাহ্মণ বনমধ্যে শতদ্বারযুক্ত দেবীর প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। পরে গোকর্ণকুলসস্থত ধেনুকৰ্ণ নামে এক ক্ষত্রিয় রাজা পশ্চিম হইতে আসিয়া বন কাটাইয়া যশোরেশ্বরীর নিকট ইষ্টকরচিত গৃহ নিৰ্ম্মাণ করেন। বল্লাল- . cসনের পুত্র লক্ষ্মণসেন যশোরস্থ সেনহট্টগ্রাম পত্তন করিয়া যশোরেশ্বরীর নিকট একটি শিবমন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। : তন্ত্রচুড়ামণি প্রভৃতি তন্ত্র

  • যশোর আধুনিক কালে যশোহর বলিয়া উল্লিখিত হইয়া থাকে, কিন্তু সংস্কৃত প্রাচীন গ্রন্থাদিতে ইহাকে যশোর বলিয়া লিখিত হইতে দেখা যায়, তন্ত্রচূড়ামণি, দিগ্বিজয়

প্রকাশ প্রভৃতি গ্রন্থে যশোরই দৃষ্ট হয়, এবং ইহার অধিষ্ঠাত্রী দেবীর নাম যশোরেশ্বরী। কনিংহাম সাহেব আরব জসর বা সেতু হইতে ইহার নাম হইয়াছে বলিয়া অনুমান করেন। + দিগ্বিজয় প্রকাশ তিন শত বৎসর পূৰ্ব্বে কবিরাম কর্তৃক লিখিত হয় । বিশ্বকোষ-ঘশোর শব্দ ।