পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8 গ্রন্থেও যশোরেশ্বরীর উল্লেখ আছে। সুতরাং যশোর যে প্রাচীন স্থান তাহাতে সন্দেহ নাই, এবং তাহার অধিষ্ঠাত্রী যশোরেশ্বরীও বহুদিন হইতেই বিদ্যমান আছেন । বিক্রমাদিত্য এই প্রাচীন স্থানকেই আপনাদের বাসোপযোগী করিবার জন্য তাহার অবণ্যাদি কাটাইয়া তাহাকে এক সুন্দর নগরে পরিণত করেন । কালক্রমে তাহা দক্ষিণ বঙ্গের রাজধানী হইয়া উঠে। এই যশোরের চতুঃপাশ্বে বহুদুরবিস্তৃত ভূভাগের জায়গীর তাহীদের অধিকৃত হইয় উঠে ও তাহা যশোররাজ্য নামে থ্যাত হয়। দিগ্বিজয় প্রকাশের মতে এই যশোররাজ্যের পশ্চিম সীমায় কুশদ্বীপ, পূৰ্ব্বে ভূষণ ও বাকলার সীমা মধুমতী নদী, উত্তরে কেশবপুর ও দক্ষিণে সুন্দরবন ছিল। এই চতুঃসীমার মধ্যবৰ্ত্তী একবিংশতি যোজন পরিমিত স্থান দশোর নামে খ্যাত। ভবিষ্যপুরাণের ব্ৰহ্ম খণ্ডে যশোরকে দশ যোজন পরিমাণ বলা হইয়াছে । ওয়েষ্টল্যাণ্ড সাহেবের মতে প্রতাপাদিত্যের পৈতৃক ও স্বাধিকৃত ভূভাগ ইচ্ছামতী নদীর পূৰ্ব্বভাগস্থ চব্বিশ পরগণা জেলায় এবং উত্তর ও উত্তরপূৰ্ব্ব অংশ ব্যতীত সমগ্র যশোর জেলায় অবস্থিত ছিল। ওয়েষ্টল্যাণ্ড প্রতাপাদিত্যের রাজ্যের উত্তর-পশ্চিমে কৃষ্ণনগরের রাজবংশের ভূভাগ অবস্থিত ছিল বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন । কিন্তু সে সময়ে কৃষ্ণনগরের রাজবংশের রাজ্য যে অধিক দূর বিস্তৃত ছিল, এমন বোধ হয় না। সে যাহাহউক, এই সমস্ত আলোচনা করিয়া আমাদের বোধ হয় যে, বিক্রম’দিত্যের সময়ে না হউক, প্রতাপাদিত্যের সময়ে যশোর রাজ্য বহু বিস্তৃত ছিল, তাহার পশ্চিমে ভাগীরথী, দক্ষিণে সমুদ্র, পূৰ্ব্বে মধুমতী ও উত্তরে বর্তমান নদীয়া জেলার দক্ষিণাংশ ও চব্বিশ পরগণার উত্তরাংশ অবস্থিত ছিল। • মধুমতী ভূষণ ও বাকলা হইতে যশোর রাজ্যকে পৃথক্ করিয়া

  • ২• টিল্পনী.দেখ ।