পাতা:প্রতিবিম্ব - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষ্টেশনে একটি বিশ-বাইশ বছরের ছেলে তারককে সাদর অভ্যর্থনা জানােল। সে রামবাবুদের দলের লোক। রামবাবু আগেই চিঠি লিখে দিয়েছিলেন। ছেলেটির নাম শৈলেশ ! আকারে সে খুব ছোট, তবে খারাপ দেখায় না। বালকের মত সর্বাঙ্গের হ্রস্বতায় সুন্দর সামঞ্জস্য আছে। মন্ত একজোড়া চশমা তার মুখে সর্ববিদ্যাবিশারদের ছাপ ফেলেছে। তাতেও সামঞ্জস্য নষ্ট হয় নি! - রামলালবাবু এমন বৰ্ণনা দিয়েছেন। আপনার যে দেখেই চিনতে পেরেছি । আসুন আমার সঙ্গে। বিছানা এনে ভালই করেছেন। ভাবছিলাম। একটা মেসে গিয়েশৈলেশ বিস্মিত হয়ে বলল, “রামবাবু যে লিখলেন, আপনি আমাদের সঙ্গে কদিন থাকবেন ? যাকগে, নেয়ে খেয়ে বিশ্রাম করবেন চলুন তো, তারপর মেসের কথা ভাবা যাবে।” শৈলেশ হাসল, “আমাদের ওটাও একরকম মেস-একটু খাপছাড়া মেসি ।” বাসে আরেকটু এগোল পরিচয়। এগোল কি ? শৈলেশ মুখচোরা নয়, বাকসংযমী তো নয়ই। অথচ গন্তব্য স্থানে পৌছানো পৰ্য্যন্ত তার অনেক কথা থেকে এইটুকু বস্তু মাত্র তারক পেল যে তার বাবা বড় চাকরে, সে কখনো বাড়ীতে থাকে, কখনো তাদের এই মেসে। গলির মধ্যে দোতলা একটি পুরানো বাড়ী, নীচের তলাটা একটু স্যাতসেতে। দোতলার সিঁড়িটা কাঠের এবং ধাপগুলি অপ্ৰশান্ত । বিশেষ কায়দায় পা ফেলে ওঠানামা করতে হয় এবং কায়দাটি আয়ত্ত করতে R