পাতা:প্রতিবিম্ব - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

esRifu একটু, কথাটা শেষ করে নি। তারপর ভাল করে আপনার সঙ্গে পরিচয় করছি। কি কথা শেষ করতে চায় ওরা ? চায়ে ভিজিয়ে রুটি চিষোতে চিবোতে তারক গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকে। মনটা তার এলিয়ে যায়। আলোচনার কোন ধারাই সে ধরতে পারে না। নাম শোনে সে শোনা লেখকের, পীড়া বই-এর, জানা বাদ ও পন্থার, অথচ প্ৰত্যেকের কথা তার দুৰ্বোধ্য মনে হয়। শিশুশিক্ষা প্ৰথম ভাগ নিয়ে পাঁচজনে যেন মুখে মুখে ডক্টরেটের থিসিস তৈরী করছে। শৈলেশ তাকে পৌছে দিয়েই কোথায় উধাও হয়ে গিয়েছিল, হঠাৎ ফিরে এসে বলল, চুপ করে বসে আছেন যে ? ঘরে ঘরে যান, আলাপ করুন সকলের সাথে ? চুপটি করে বসে থাকলে কেউ আপনার দিকে তাকিয়েও দেখবে না । তারক সেটা ক্ৰমে টের পাচ্ছিল। কেউ আসছে। কেউ যাচ্ছে, কেউ খানিক বসে জামা খুলে গায়ে তেল মাখছে। পাশের ঘরের একটা পাটিতে শুয়ে দু’জন এত বেলায় ঘুমিয়ে আছে, হলুদ-পেশার রঙ লাগানো হাতে একটি মহিলা ঘরে ঢুকে ট্রাঙ্ক খুলছেন নিঃশব্দে-চাবির গোছার একটি চাবি বিনিক করে শব্দ করতে পারছে না। শৈলেশ আবার বলল ফাঁকা ভদ্রতা করবার পাট আমাদের নেই। সময় কোথা ? এমন ব্যস্ত সবাই! ব্যস্ততার লক্ষণগুলি একটু বেখাপ্পা মনে হওয়ায় তারকের মনে উণ্টো ক্ষোভ জেগেছিল। ঘুমন্ত আর আর্ডভারতদের দেখিয়ে সে একটা মন্তব্য করল। শৈলেশ অনায়াসে রাগ করতে পারত। রাগ না করে সে শুধু বলল, ওরা দু’ব্রাত জেগে আজ ভোর চারটেীয় ঘুমিয়েছে। আর ওয়া