পাতা:প্রতিবিম্ব - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতিবিষ ཝ་༠ দরজার বাইরে যেতেই ওপর থেকে ফড়ি ফড়ি করে একটি কালো। পেড়ে কাচা শাড়ী নেমে এসে তার মাথায় ঠেকল। মুখ তুলে তাকাতেই মনোজিনী বলল, আসছি। কেন বলল, বুঝে উঠতে পারল না তারক। মনোজিনী নীচে এসে বলল, খাবেন আসুন। খিদেয় পেট জলছে নিশ্চয়ই ? আমারও জলছে। একটা একসাট্রা ক্লাস ঘাড়ে চাপিয়ে দিল, তাই দেৱী হয়ে গেল ফিরতে । এখানে এসে একবার শুধু মনোজিনীকে তারক দেখেছিল, কলতলায় কয়েকটা সার্টে সাবান দিচ্ছে। দেখে তার মনে হয়েছিল মানুষের চেহারায় এত বেশী বিষাদের সমাবেশ সে জীবনে কখনো স্থাখেনি। অজানা কারো চেহারায় দূরে থাক, অতি চেনা কোন হতভাগীর চেহারাতেও নয়, যার জন্য সহানুভূতিতে চোখ পৰ্য্যন্ত তার সজল হয়েছে। তখনও পরিচয় হয়নি, শৈলেশ শুধু দূর থেকে দেখিয়ে পরিচয় দিয়েছিল। এবার নীচে নেমে এসে তারকের সঙ্গে ভাত খেতে বসে :: নিজেই তার বিস্তারিত পরিচয় দিল। মনােজিনীর স্বামী বনবিহােষ্ট্র ছিল এক কলেজের লেকচারার, মাস ছয়েক হল জেলে আছে। তার বছরখানেক আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল এবং এই বাড়ীতে দু’জনে সংসার পেতেছিল-অর্থাৎ বাস করছিল। বনবিহারী জেলে যাবার পর বাড়ী ছেড়ে যেতে মনোজিনীর মন চায় নি, বাপ মা ভাই বোন მხt সোধে ফিরে গেছে। শেষে দলের কয়েকজন মিলে বাড়ীটা ভাড়া নিয়েছে LE LEBBB KL ELD BDD DD DBYS ཕ কিন্তু তাই বলে যেন মনে করবেন না দিনরাত আমি ককিয়ে । কঁদেছি ভেতরে ভেতরে। আমার চেহারাটাই ওমনি, দেখলেই মন্ধে